Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
National News

এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম: পবন

উত্তরপ্রদেশের মেরঠের বাসিন্দা পবনের বাবা, ঠাকুরদা ও তাঁর বাবাও ছিলেন ফাঁসুড়ে।

পবন জল্লাদ

পবন জল্লাদ

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২০ ০৩:৪৬
Share: Save:

এমনিতে ‘দিন আনি, দিন খাই’ হাল তাঁর সংসারের। নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডের চার অপরাধীকে ফাঁসি দিয়ে মাথাপিছু পেয়েছেন ২০ হাজার টাকা করে। এ বার মেয়ের বিয়ে দিতে চান ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ।

উত্তরপ্রদেশের মেরঠের বাসিন্দা পবনের বাবা, ঠাকুরদা ও তাঁর বাবাও ছিলেন ফাঁসুড়ে। ভগৎ সিংহের ফাঁসি হয়েছিল তাঁর বাবা মাম্মুর হাতে। পবনের দাদা ফাঁসি দেন ইন্দিরা গাঁধীর হত্যাকারীদের। পবন পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের ফাঁসুড়ে। ঠাকুরদার থেকে হাতেকলমে কাজ শেখেন তিনি। ১৯৮৮ সালে পাতিয়ালায় দু’জনকে ফাঁসি দিয়েছিলেন তাঁর দাদু কালুরাম। তখন সহযোগী ছিলেন পবন। তার ৩২ বছর বাদে প্রথম নিজে ফাঁসি দিচ্ছেন তিনি। এর আগে নিঠারি কাণ্ডে ফাঁসির প্রস্তুতিতে পবন সহকারী হিসেবে ছিলেন। শুক্রবার ফাঁসির পরে পবন জল্লাদ বলেছেন, ‘‘জীবনে প্রথম বার চার অপরাধীকে ফাঁসি দিয়ে আমি খুশি। এই দিনটার জন্য বহু দিন অপেক্ষা করেছিলাম। তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ ও ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’’

মেরঠের জেলে কর্মরত পবন উত্তরপ্রদেশের একমাত্র স্বীকৃত ফাঁসুড়ে। বাবা-ঠাকুরদার থেকে ফাঁসি দেওয়ার খুঁটিনাটি শিখেছেন তিনি। ফলে তাঁর হাতে কোনও রকম ভুলচুক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। তাই প্রথম থেকেই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের বাছাই তালিকায় ছিলেন তিনি। নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসির জন্য মেরঠ থেকে তিহাড়ে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। তার জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছেন তিনি। মেরঠের জেলে ৩ হাজার টাকা বেতনে কাজ করেন পবন। সাত সন্তানকে নিয়ে তাতে চলে না। ফলে সারা বছর আনাজপাতি, ফল বিক্রি করেন তিনি। পাড়ায় বিশেষ কেউ জল্লাদ বলে চেনেনও না তাঁকে। কালি ও বজরঙ্গবলীর একনিষ্ঠ ভক্ত তিনি। পবন জানিয়েছেন, এই কাজে আর আসতে চান না তাঁর ছেলে। সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুন: পরিবারের পাশে, দোষীদের পাশে কিন্তু নয় মহল্লা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nirbhaya Case Nirbhaya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE