Advertisement
০৭ মে ২০২৪

সেনা নিয়ে কমিটিতে নেই সেনা অফিসারেরাই

তিন সামরিক বাহিনী, সিআরপিএফ, বিএসএফ, আইটিবিপি-র জওয়ানেরা মোদী সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৯ ০৩:৪৮
Share: Save:

সেনার বীরত্বকে নরেন্দ্র মোদী লোকসভা ভোটে কাজে লাগাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। সেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এবার সেনা, আধাসেনাদেরই অভিযোগ, তাঁদের দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখতে মোদী সরকার কমিটি গঠন করলেও তাতে আইএএস ও আইপিএস অফিসাররাই রয়েছেন। সেনার কোনও অফিসার নেই। এতে জওয়ানদের মনোবল ধাক্কা খাবে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন সেনা-কর্তারা।

তিন সামরিক বাহিনী, সিআরপিএফ, বিএসএফ, আইটিবিপি-র জওয়ানেরা মোদী সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। বহুদিন ধরেই সেনা, আধাসেনা জওয়ানরা দাবি তুলেছেন, শূন্যপদের অভাবে তাঁদের পদোন্নতি আটকে থাকছে। সেক্ষেত্রে পদোন্নতি না হলেও তাঁদের উচ্চতর পদের সমান বেতন দেওয়া উচিত। আমলা ও আইপিএস-দের জন্য এই সুবিধা চালু রয়েছে। এই ‘এনএফইউ’ বা ‘নন-ফাংশনাল আপগ্রেডেশন’-এর দাবি খতিয়ে দেখতে মোদী সরকারের কর্মিবর্গ মন্ত্রক গত ৩০ এপ্রিল একটি কমিটি গঠন করেছে। প্রাক্তন অর্থসচিব রতন পি ওয়াটালের নেতৃত্বাধীন কমিটির কাজ হবে, সপ্তম বেতন কমিশনের এনএফইউ সংক্রান্ত সুপারিশ খতিয়ে দেখা। কিন্তু কমিটিতে সেনা বা আধাসেনা বাহিনীর প্রতিনিধির জায়গা হয়নি।

প্রাক্তন সেনাপ্রধান (কার্গিল যুদ্ধের সময়ের) জেনারেল ভি পি মালিকের মন্তব্য, ‘‘শুধু আইএএস-আইপিএস-দের নিয়ে আরও একটা কমিটি কেন? নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বৈষম্য হলে অনৈক্য তৈরি হবে। দেশের সীমান্তে ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের মনোবলে ধাক্কা লাগবে। তাঁদের কার্যকারিতা কমে যাবে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সূত্রের খবর, সামরিক বাহিনীর প্রধানেরা এ বিষয়ে সরকারের কাছে দরবার করতে পারেন। নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লাম্বা, সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত অতীতে এ বিষয়ে মুখও খুলেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Indian Army Narendra Modi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE