Advertisement
১৮ মে ২০২৪
ভুয়ো সংঘর্ষ মামলা

মেলেনি ক্ষতিপূরণ

মণিপুর সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল, ভুয়ো সংঘর্ষে নিহত ২৮ জনের পরিবার পিছু সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে মোট এক কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা হয়নি বলে দাবি করল ১১টি পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৬ ০৫:৪১
Share: Save:

মণিপুর সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল, ভুয়ো সংঘর্ষে নিহত ২৮ জনের পরিবার পিছু সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে মোট এক কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা হয়নি বলে দাবি করল ১১টি পরিবার। পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যে তথ্য দিয়েছে। তাঁরা কোনও টাকাই পাননি।

আফস্পা আইনের বিরুদ্ধে ও ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যার ১৫২৮টি ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইরম শর্মিলা চানুর অনুগামী, মণিপুরের এক মানবাধিকার সংগঠন। সুপ্রিম কোর্ট এমন ছ’টি ঘটনার তদন্তে ২০১৩ সালে সন্তোষ হেগড়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দেয়। কমিটির তদন্তে উঠে আসে, নিহতরা কেউ জঙ্গি ছিল না। ওই মামলার জেরেই, ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ২৮টি হত্যার ঘটনাকে ‘ভুয়ো সংঘর্ষ’ বলে চিহ্নিত করে সরকারকে পরিবার পিছু সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এ বছর ২২ এপ্রিল রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানায়, ক্ষতিপূরণ পর্ব শেষ করতে আরও এক মাস লাগবে। আদালত এক মাসের মধ্যে সব ক্ষতিপূরণ মেটাতে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, উপদ্রুত এলাকায় আফস্পা লাগু থাকলেও সেনাবাহিনী বা আধা-সেনা কোনও ভাবেই অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বা প্রতিশোধমূলক আচরণ করতে পারবে না। ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনাগুলি নিয়ে স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ তদন্তেরও নির্দেশ দেয় আদালতের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সরকার জানায়, ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ১১ জনের পরিবারের দাবি, নথি জমা দিলেও ক্ষতিপূরণ পাননি। মুখ্য সচিব জে সুরেশ বাবু জানান, নথি সংক্রান্ত কোনও জটিলতার কারণে ওই পরিবারগুলির ক্ষতিপূরণ আটকে থাকতে পারে। তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Manipur compensation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE