অসমের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারে এ বারও ঠাঁই হল না রবীন্দ্রনাথের। ২৫ বৈশাখ ছুটি তো নয়ই, উদযাপনের কথাও বলেনি সরকার।
কোন দিন স্কুল কী রকম চলবে, বিস্তৃত প্রকাশ করেছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। সেখানে জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালের মৃত্যুদিবস, বিষ্ণু রাভা দিবস, লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া জয়ন্তী, সুধাকণ্ঠ দিবস পালনের কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ নেই রবীন্দ্রজয়ন্তীর। এ নিয়ে অসমের বরাক উপত্যকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আগে বরাকের জন্য পৃথক অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি হতো। গত বছর থেকে এক রাজ্য, এক ক্যালেন্ডার তৈরি শুরু হয়। গত বছরও বাদ পড়েছিল রবীন্দ্রজয়ন্তী। শিক্ষকরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে ২৫ বৈশাখ পালন করেন। ১৯ মে ভাষা শহিদ দিবস পালনের দাবিতে বনধ ডাকা হয়েছিল। পুজোর ছুটি কমিয়ে দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। এ বার অবশ্য পুজোর ছুটি ৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। সমপরিমাণ কমানো হয়েছে গ্রীষ্মের ছুটি। সারা অসম উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী সংস্থার কাছাড় জেলা কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বরাক-ব্রহ্মপুত্র ঐক্যের কথা বলেন। কিন্তু বরাকবাসীর আবেগকে গুরুত্বই দেন না। বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের বক্তব্য, রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের জন্য বাঙালি বা বরাকের মানুষকে কেনই বা দাবি জানাতে হবে? এ বারের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারে বীর টিকেন্দ্রজিত সিংহের জন্মদিন বা শবে বরাতেরও উল্লেখ নেই। ১৯ মে বরাক উপত্যকার স্কুলগুলিতে ছুটির বদলে উদযাপনের কথা বলা হয়েছে। তা-ও ভাষাশহিদ দিবস নয, ‘ভাষাসাহিত্য দিবস’ হিসেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy