Advertisement
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Sohrabuddin Shaikh

খুন ও ষড়যন্ত্রের পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই, সোহরাবুদ্দিন হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস ২২ অভিযুক্ত

২০০৫-এর নভেম্বরে গুজরাত পুলিশের এনকাউন্টারে মারা গিয়েছিল সোহরাবুদ্দিন শেখ। গুজরাত পুলিশের দাবি ছিল, সোহরাবুদ্দিনের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার যোগাযোগ ছিল এবং সে লিপ্ত ছিল গুজারাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার করার একটি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:৫৫
Share: Save:

২০০৫ সালে সোহরাবুদ্দিন শেখ এবং তার সহযোগী তুলসীরাম প্রজাপতির এনকাউন্টারে মৃত্যুর ঘটনায় ২২ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করল মুম্বই-এর আদালত। আদালত জানিয়েছে, সাক্ষীদের বয়ান এবং সিবিআইয়ের পেশ করা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই ঘটনাকে ‘ভুয়ো এনকাউন্টার’ বলা যাচ্ছে না। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের অধিকাংশই ছিলেন গুজরাত এবং রাজস্থানের পুলিশ অফিসার। যে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন গুজরাত বিজেপির তৎকালীন নেতা এবং বিজেপির বর্তমান জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ-ও।

২০০৫-এর নভেম্বরে গুজরাত পুলিশের এনকাউন্টারে মারা গিয়েছিল সোহরাবুদ্দিন শেখ। গুজরাত পুলিশের দাবি ছিল, সোহরাবুদ্দিনের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার যোগাযোগ ছিল এবং সে লিপ্ত ছিল গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার করার একটি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ।

যদিও সিবিআই তদন্তে সামনে আসে অন্য তথ্য। আদালতে পেশ করা বক্তব্যে সিবিআই জানিয়েছিল, ‘‘হায়দরাবাদ থেকে মহারাষ্ট্রের সাংলি যাওয়ার পথে সোহরাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী কওসর বাঈকে অপহরণ করে গুজরাত পুলিশ। চার দিন পর আমদাবাদে ভুয়ো এনকাউন্টারে সোহরাবুদ্দিনকে হত্যা করে গুজরাত পুলিশ। আরও দু’দিন পর নিখোঁজ কওসরকে ধর্ষণের পর খুন করা হয় গুজরাতের বনসকন্থা জেলায়। পরের বছর গুজরাত-রাজস্থান বর্ডারে গুলি করে খুন করা হয় সোহরাবুদ্দিনের সহযোগী তুলসীরাম প্রজাপতিকে। ’’

আরও পড়ুন: ‘পাপ্পু’ বনাম ‘ফেকু’! নেটযুদ্ধে জনপ্রিয়তা বাড়ছে রাহুলের, প্রভাব পড়বে লোকসভা ভোটে?

যদিও গুজরাত পুলিশের দাবি ছিল, আদালতে শুনানির পর পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থাতেই পালানোর চেষ্টা করছিল তুলসীরাম। ওকে থামানোর জন্যই গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। তখন সেই গুলিতেই মারা যায় তুলসীরাম প্রজাপতি।

আগেই এই মামলায় বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছিল বিজেপি নেতা অমিত শাহ, রাজস্থানের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাবচাঁদ কাটারিয়া, গুজরাত পুলিশের তৎকালীন প্রধান পিসি পাণ্ডেকে। মুম্বই আদালতের শুক্রবারের রায়ে ছাড় পেলেন বাকি পুলিশ অফিসাররাও।

আরও পড়ুন: যে কোনও কম্পিউটারে চালানো যাবে নজরদারি, নয়া নির্দেশিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই হাইপ্রোফাইল এবং রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল মামলাটি গুজরাত থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মুম্বইতে। যে ২২ অভিযুক্তকে আজ বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে ২১ জন পুলিশ কর্মী এবং বাকি ব্যক্তি গুজরাতের একজন ফার্ম মালিক। মুম্বই-এর বিশেষ সিবিআই আদালতের এই রায়ের বিরু্দ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছে সোহরাবুদ্দিন শেখ-এর পরিবার।

(রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রাইম - দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

অন্য বিষয়গুলি:

Sohrabuddin Shaikh Fake Encounter Gujarat Police Amit Shah CBI Mumbai Narendra Modi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy