Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নতুন দু’টি ট্রেন পেল উত্তর-পূর্ব

স্বাধীনতা দিবসের আগেই অরুণাচল প্রদেশ ও ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পারের জন্য দু’টি ব্রডগেজ ট্রেন উপহার দিল কেন্দ্র। আজ কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু দিল্লি থেকে রিমোটের বোতাম টিপে গুয়াহাটি মুরকংসেলেক এক্সপ্রেস ও ডেকারগাঁও-ভালুকপং প্যাসেঞ্জার ট্রেন দু’টির উদ্বোধন করেন।

নতুন ট্রেনের উদ্বোধনে। সোমবার। উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।

নতুন ট্রেনের উদ্বোধনে। সোমবার। উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৫ ০৩:৩৩
Share: Save:

স্বাধীনতা দিবসের আগেই অরুণাচল প্রদেশ ও ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পারের জন্য দু’টি ব্রডগেজ ট্রেন উপহার দিল কেন্দ্র। আজ কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু দিল্লি থেকে রিমোটের বোতাম টিপে গুয়াহাটি মুরকংসেলেক এক্সপ্রেস ও ডেকারগাঁও-ভালুকপং প্যাসেঞ্জার ট্রেন দু’টির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা অরুণাচলের সাংসদ কিরেণ রিজিজু ভালুকপঙে ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তথা লখিমপুরের সাংসদ সর্বানন্দ সোনোয়াল ধেমাজির মুরকংসেলেকে হাজির ছিলেন। মুরকংসেলেক স্টেশনটি অরুণাচল সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আর ভালুকপং হল অরুণাচলের প্রবেশপথ।

সীমান্ত রাজ্যে যোগাযোগ উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ নিয়ে চিনের বিস্তর আপত্তিও ছিল। কিন্তু ভালুকপং অবধি রেলপথ টেনে নিয়ে গিয়ে চিনকে প্রচ্ছন্ন বার্তা দিল ভারত। মোট ৫১১.৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রঙিয়া-মুরকংসেলেক রেলপথটি ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এই রেলপথকে ব্রডগেজ করার জন্য ২০১১ সাল থেকে রঙিয়া-মুরকংসেলেক পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

ধেমাজির বন্যায় বহুবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাজ। ট্রেন চালু হওয়ায় কেবল অরুণাচলের সঙ্গে যোগাযোগই সহজতর হয়নি, বর্তমানে যেখানে জনাই থেকে গুয়াহাটি অবধি বাসের ভাড়া দিতে হয় প্রায় সাড়ে ছ’শো টাকা, সেখানে ট্রেনে স্লিপার শ্রেণিতে ভাড়া হবে তিনশো টাকারও কম।

এই ব্রডগেজ লাইন পাততে খরচ হয়েছে ২৯৮৫ কোটি টাকা। সর্বানন্দ এদিন জানান, ১ অক্টোবর থেকে মুরকংসেলেক-গুয়াহাটি ট্রেনটি রাত ৮টায় ছাড়বে। আপাতত, ট্রেনটি প্রতিদিন গুয়াহাটি থেকে সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মুরকংসেলেকে পৌঁছবে। সেখান থেকে ফিরতি ট্রেন রাত সাড়ে ৯টায়। গুয়াহাটি পৌঁছবে পরদিন বেলা সাড়ে ১২টায়। অবশ্য প্রথম দিনই ট্রেনটি তেলেম ও সিমেন চাপোরিতে অবরোধের মুখে পড়ে। স্থানীয় মানুষ তেলেমে স্টেশন ও সিমেনে লেভেল ক্রশিং দাবি করেন।

ভালুকপঙে রিজিজু বলেন, কেবল যাত্রীদের জন্য নয়, তাওয়াং সীমান্ত অবধি বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন থাকা সেনাকর্মীদের জন্যও এই রেলপথ খুবই কাজে আসবে।

সহজেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও অন্যান্য সরঞ্জাম ভালুকপং দিয়ে পশ্চিম কামেং জেলায় আনা যাবে। উত্তর-পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়, এই প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি শোণিতপুরের ডেকারগাঁও থেকে বেলা পৌনে ১টায় ছেড়ে বেলা ২টো ৫৫ মিনিটে ভালুকপং পৌঁছবে। সেখান থেকে বিকাল সাড়ে ৩টেয় ছেড়ে ট্রেনটি ডেকারগাঁও পৌঁছবে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE