এক দিকে আরজি করকাণ্ডের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে কলকাতার রাজপথে নেমেছে মানুষের ঢল। আর ঠিক সেই দিনেই ওড়িশার হাসপাতালে রহস্যমৃত্যু হল আর এক কর্তব্যরত নার্সের। শনিবার ওড়িশার ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালের শৌচাগার থেকে হাসপাতালেরই এক নার্সের দেহ উদ্ধার হয়েছে। রাখি উপলক্ষে শনিবার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল ওই তরুণীর। তার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই তাঁর দেহ মেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালের শৌচাগারে উদ্ধার হয় ওই নার্সের দেহ। তরুণীর হাতের তালুর পিছন দিকে একটি সূচ বেঁধানো ছিল। মৃতার ভাইকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রাথমিক পুলিশের অনুমান, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে কোনও বিষাক্ত পদার্থ শরীরে প্রবেশ করানোর কারণে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, ওই তরুণীর মৃত্যুর নেপথ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও ভূমিকা রয়েছে। প্রথমত, তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার প্রায় দু’ঘণ্টা পর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে নিহত তরুণীর পরিবার। মৃতার ভাইয়ের কথায়, ‘‘প্রাথমিক ভাবে আমাদের বলা হয়েছিল, বোনকে হাসপাতালের শৌচাগারে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। পরে আমরা গিয়ে জানতে পারি, আগেই বোনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পুলিশ বলছে, ওর হাতে একটি সিরিঞ্জ বেঁধানো ছিল, যা আত্মহত্যার দিকে ইঙ্গিত করে। অথচ ওর জীবনে এমন কোনও গুরুতর সমস্যা চলছিল না যে জন্য ওকে এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’
নিহত নার্সের ভাই আরও জানিয়েছেন, শনিবারই রাখি উপলক্ষে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তরুণীর। ফোনে বোনের সঙ্গে কথাও হয়েছিল তাঁর। এর পরেই আরও ঘনাচ্ছে রহস্য। কী ভাবে ওই নার্সের মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের অন্য কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, ঠিক এক বছর আগে কলকাতার আরজি করে এক কর্তব্যরত চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ওই তরুণীকে হাসপাতালের ভিতরেই ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। তদন্তে এক সিভিক ভলান্টিয়ার গ্রেফতার হন। সেই ঘটনার বছরপূর্তির দিনে ফের কর্তব্যরত নার্সের দেহ মিলল হাসপাতালে।