জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন বিলের নানা ধারা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীদের তো বটেই, সরকার পক্ষের ভিতরেও রয়েছে নানা প্রশ্ন। আর সে কারণেই বিলটিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ফলে, চলতি অধিবেশনে বিলটি আসার সম্ভাবনা আর রইল না। কিন্তু স্পিকারের স্পষ্ট নির্দেশ, বাজেট অধিবেশনের আগেই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
সংসদে সরকার এবং বিরোধী পক্ষের বাদানুবাদ তো অনেক পরের বিষয়। তার আগেই ওই খসড়া বিলকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে ঝড় উঠেছে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসক মহলে। খসড়া বিলের প্রতিবাদে গত কাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সারা দেশে প্রায় তিন লক্ষ চিকিৎসক সকাল ছ’টা থেকে সন্ধে ছ’টা জরুরি বিষয় ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা অবশ্য চিকিৎসকদের এই প্রতিবাদের কোনও কারণ খুঁজে পাননি। বরং তিনি জানিয়েছেন, বিলটি পাশ হলে আদতে তা চিকিৎসা পেশার সপক্ষেই যাবে। যদিও কী ভাবে বিষয়টি চিকিৎসা পেশার সহায়ক হবে তার উল্লেখ নেই মন্ত্রীর কথায়। এমসিআই-এর নানা রকম অনিয়মের কথা বিলটি প্রসঙ্গে বলা হলেও এনএমসি কী ভাবে শেষ পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের দিকগুলি সামলাবে তারও উল্লেখ করেননি মন্ত্রী।
ওই বিলে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের সর্ব-ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ‘মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’ (এমসিআই)-কে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তা হলে এ দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা, চিকিৎসা সংক্রান্ত শিক্ষা এবং রোগী পরিষেবার খুঁটিনাটি কারা দেখবে? খসড়া বিল বলছে, ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন’ (এনএমসি)। স্বাভাবিক ভাবেই অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে মেডিক্যাল কাউন্সিল ও তার শাখাগুলি। এমসিআই-কে সরিয়ে নতুন কমিশনের যে প্রস্তাবনা করা হয়েছে, তাতে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়কে আরও বেশি করে আমলা নির্ভর একটি বিধির মধ্যে আনার চেষ্টা দেখা গিয়েছে।