মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে ধনীদের কালো টাকায় হাত পড়ছে না, উল্টে বিপদে পড়ছেন কৃষক, মজুর, ছোট ব্যবসায়ী-সহ আমজনতা— বিরোধীদের এমনই অভিযোগ। যার প্রতিকার চেয়ে দিল্লি-কলকাতা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই বক্তব্য নিয়ে শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সরব হলেন কবীর সুমন, গৌতম ঘোষ, শাঁওলি মিত্র, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মনোজ মিত্র, জয় গোস্বামী, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, অভিরূপ সরকার, দীপঙ্কর দে প্রমুখ বিশিষ্ট জনেরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যাঁরা সকলেই মমতাপন্থী।
তাঁদের বক্তব্য, এর পিছনে আদতে চক্রান্ত রয়েছে। গরিব এবং মধ্যবিত্ত মানুষের টাকা ব্যাঙ্কে জমা নিয়ে সেখান থেকে অম্বানী-আদানিদের ফের ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা। কারণ, দেশের ব্যাঙ্কগুলি শিল্পপতিদের ঋণ দেয় এবং তাঁদের অনেকেই ঋণ শোধ করেন না। ব্যাঙ্ক তাঁদের ঋণ মকুবও করে। এতে ব্যাঙ্কগুলি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাদের পক্ষে আর শিল্পপতি ঋণখেলাপিদের ঋণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। আবার যাতে ব্যাঙ্ক তাঁদের ঋণ দিতে পারে, তার জন্যই আমজমতার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। রিলায়েন্সের নাম না করে অভিরূপবাবুর অভিযোগ, একটি বিশেষ মোবাইল পরিষেবা সংস্থাকে সুবিধা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র এই সব পদক্ষেপ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy