লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা পুরোপুরি নিজের হাতে তুলে নিতে মোদী সরকার বাদল অধিবেশনের সময় সংসদে বিল পেশ করেছিল। যদিও সময়ের অভাবে সেই বিল পাশ করানো যায়নি। বিরোধী শিবির মনে করছে, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সেই বিল পাশ করিয়ে নিতে পারে মোদী সরকার।
অগস্টে সংসদের বাদল অধিবেশন শেষের এক দিন আগে আচমকা কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক রাজ্যসভায় নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিল পেশ করেছিল। সেই বিলে নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের তিন সদস্যের কমিটি থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। যদিও শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চের অবস্থান ছিল, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষমতা শুধু সরকারের হাতে থাকা উচিত নয়। কিন্তু কমিশনের বিল অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের জন্য তিন সদস্যের কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীরই মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
কংগ্রেস নেতারা আজ স্পষ্ট করেছেন, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদের পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হলেও তার কার্যসূচি মোদী সরকার গোপন রেখেছে। ফলে কোনও বিল পাশ করানো হবে, না কি পাঁচ দিন ধরে শুধুই জি২০, চন্দ্রযান, সংসদের নতুন ভবনের জন্য মোদী-বন্দনা চলবে, তা কারও জানা নেই। আজ কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘সংসদের বুলেটিন অনুযায়ী পাঁচ দিনই সরকারি কার্যসূচি হবে। এটা প্রথাবিরুদ্ধ। সংসদে মোদী সরকারের কার্যসূচি কী, তা নিয়ে বৈঠক ডাকা হোক।”
জয়রামের কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রী ভারতকে গণতন্ত্রের জননী হিসেবে তুলে ধরছেন। কিন্তু একতরফা সংসদের অধিবেশনের ডাকছেন। একনায়কতন্ত্রের তোপ দাগছেন।
পাল্টা জবাবে কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রী বলেন, ‘‘সংসদের ইতিহাসে এর আগেও ৪০ বার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সংসদে অধিবেশনের দু’সপ্তাহ আগে সরকার কখনও কার্যসূচি জানায় না। অধিবেশনের আগে কার্যসূচি উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)