Advertisement
২২ মার্চ ২০২৩

হুরিয়তের সঙ্গে কথা চালাবেই পাকিস্তান

ভারত-পাকিস্তানের চাপানউতোরের মধ্যেই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় আবার নতুন করে উত্তপ্ত নিয়ন্ত্রণরেখা। কাশ্মীরের হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা তারা যে কোনও ভাবেই বন্ধ করতে রাজি নয়, এ দিন স্পষ্ট ভাবে সে কথা জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। দিল্লিতে পাক হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত দাবি করেছেন, কাশ্মীর নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানসূত্রে পৌঁছতে ‘সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার দরকার’ রয়েছে।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৪ ০২:৪৮
Share: Save:

ভারত-পাকিস্তানের চাপানউতোরের মধ্যেই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় আবার নতুন করে উত্তপ্ত নিয়ন্ত্রণরেখা।

Advertisement

কাশ্মীরের হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা তারা যে কোনও ভাবেই বন্ধ করতে রাজি নয়, এ দিন স্পষ্ট ভাবে সে কথা জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। দিল্লিতে পাক হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত দাবি করেছেন, কাশ্মীর নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানসূত্রে পৌঁছতে ‘সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার দরকার’ রয়েছে। সে জন্যই কাশ্মীরের বিষয়ে ‘অংশীদার’ হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে কথা বলছে পাকিস্তান। কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের নিয়ে হাইকমিশনারের এমন বক্তব্যে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন মন্তব্য করেছেন, “শিমলা চুক্তি অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয় হল কাশ্মীর। অন্য কোনও পক্ষকে এর সঙ্গে জুড়তে চাইলে লাভ হবে না।”

দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের এই শীতলতার ভিতরে পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানের দিক থেকে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত। মঙ্গলবার বেশি রাতে পুঞ্চের হামিরপুর সেক্টরে পাক সেনারা ভারতের সেনা চৌকি লক্ষ্য করে গোলাগুলি ছুড়তে থাকে। জবাব দিয়েছে ভারতীয় বাহিনীও। তবে হতাহতের খবর নেই।

২৫ অগস্ট ভারত-পাক সচিব পর্যায়ের নির্ধারিত বৈঠক বাতিল হয়ে যাওয়ায় দু’দেশের সম্পর্কে নতুন করে যে টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে আজ বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন পাক হাইকমিশনার। হুরিয়ত নেতাদের নিয়ে বাসিতের মন্তব্য, “পাকিস্তান মনে করে, কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শান্তিপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলেও আমরা আশাবাদী।” কয়েক ঘণ্টার ভিতরেই নয়াদিল্লির তরফ থেকে পাক হাইকমিশনারের বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আকবরউদ্দিন বলেন, “১৯৭২ সালে ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের ভিতরে শিমলা চুক্তি স্বাক্ষরের পরে জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়ে অংশীদার হল দুটি দেশ ভারত ও পাকিস্তান।” তাঁর মতে, “দু’দেশের বিদেশনীতির মূল কথা এটাই। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ও নওয়াজ শরিফের মধ্যে স্বাক্ষর হওয়া লাহৌর ঘোষণাপত্রেও এই ভাবনাকেই তুলে ধরা হয়।” ফলে নয়াদিল্লির তরফ থেকে সাফ জানানো হয়েছে, শিমলা চুক্তি ও লাহৌর সমঝোতা থেকে আলাদা রাস্তায় কেউ হাঁটতে চাইলে ভারত তা মানবে না। পাক হাইকমিশনার যদিও হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনাকে নিয়ে পাল্টা বক্তব্য হাজির করেছেন। তাঁর মন্তব্য, “দীর্ঘসময় ধরেই এটা চলে আসছে। আমরা কাশ্মীরি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আসছি। শান্তি বজায় বাখতে সব অংশীদারের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে।” আর সচিব পর্যায়ের বৈঠক না হলেও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। যদিও এর সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, “আলোচনা করে ভারত,পাকিস্তান কেউ কাউকে সুবিধা করে দিচ্ছে না।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.