আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া জম্মু, পঠানকোট, উধমপুরে সেনার ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে বৃহস্পতিবার রাতে ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানি সেনা। সব মিলিয়ে দেশের ৩৬টি জায়গায় ৩০০-৪০০ বার ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। পরে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানান, পাকিস্তান আসলে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) পরীক্ষা করতেই ড্রোন হামলা চালিয়েছে। বিদেশসচিব বলেন, ‘‘পাকিস্তান ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে। ভেঙে পড়া ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের ফরেন্সিক পরীক্ষা হচ্ছে।’’
ঘটনাচক্রে, ভারতও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যাচাই করতেই ড্রোন পাঠিয়েছিল বলে দাবি করেছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তাঁর বক্তব্য, সেই কারণেই ভারতের ড্রোনগুলিকে প্রথমে আটকানো হয়নি। পরে নিরাপদ দূরত্বে ড্রোনগুলি পৌঁছোনোর পর সেগুলিকে গুলি করে নামানো হয়েছে। আসিফের কথায়, ‘‘ভারতের পাঠানো ড্রোনের উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন জায়গা শনাক্ত করা। তাই আমরা সেগুলিকে আটকাইনি, যাতে আমাদের অবস্থান ফাঁস না-হয়ে যায়। পরে নিরাপদ দূরত্বে যাওয়ার পর ড্রোনগুলিকে আমরা গুলি করে নামিয়েছি।’’
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। পাকিস্তান প্রথম থেকেই এই ঘটনার সঙ্গে যোগাযোগ অস্বীকার করেছিল। কিন্তু ভারত এই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। তার পর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে।
ভারতীয় সেনার ওই অভিযানের পর বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান ভারতের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেই হামলার চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পাক ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।