প্রতীকী ছবি।
কী ভাবে মেয়ে, বোনদের লভ জিহাদ থেকে রক্ষা করবেন রাজস্থান সরকার আয়োজিত ধর্মীয় মেলায় এমনই বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে পুস্তিকা বিলোনোর অভিযোগ উঠেছে।
জয়পুরে ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা। চলবে পাঁচ দিন। সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলোর ছাত্রদের এই মেলার হাজির থাকার জন্য বার্তা পাঠানো হয়। অভিযোগ উঠেছে, মেলায় কিছু বিতর্কিত পুস্তিকা বিলোনো হচ্ছে। আর সেই পুস্তিকার মূল বিষয়বস্তু লভ জিহাদ। ‘কী ভাবে মুসলিম ছেলেরা হিন্দু মেয়েদের প্রণয়ের জালে ফাসিয়ে তাঁদের ইসলাম ধর্মান্তরিত করছে, আর সেই বিষয়টি আটকাতে গেলে কী করা উচিত’ তার নিদান দেওয়া আছে। পুস্তিকাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জিহাদ অ্যান্ড লভ জিহাদ’।
আরও পড়ুন: হয় জেল, না হয় যমের বাড়ি, অপরাধজগতকে হুঁশিয়ারি যোগীর
কী পরামর্শ দেওয়া রয়েছে তাতে?
ওই পুস্তিকায় বলা হয়েছে, হিন্দু মেয়েদের বিশ্বাস অর্জন করে সহজেই তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে মুসলিম ছেলেরা। তার পর চ্যাটিং, নিজেদের হিন্দু বলে পরিচয় দেওয়া, হাতে তাগা বাঁধার মতো কাজ করে সহজেই হিন্দু মেয়েদের মন জয় করে নেয়। শুধু তাই নয়, লভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পরিবারের অমতে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করে।
এ তো গেল লভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে হিন্দু মেয়েদের কী দশা হয় তার কথা। এর থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে হিন্দু মেয়েদের পরিবারের উদ্দেশে বেশ কিছু পরামর্শও দেওয়া রয়েছে ওই পুস্তিকায়।
সেখানে বলা হয়েছে, লভ জিহাদের ফাঁদে পড়েছে কি না, তা নজর রাখতে মেয়েদের মোবাইল ফোনের সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে হবে। কে ফোন করছে, কে টেক্সট করছে বা কার সঙ্গে কথা বলছে সব নজরবন্দি করলেই অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। এখানেই শেষ নয়। ওই পুস্তিকায় আমির ও সইফ আলি খানেরও উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে, কী ভাবে তাঁরা হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করেছেন। হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করে ইসলাম ধর্মান্তিরত করার জন্য মুসলিম ছেলেরা কত টাকা পায় তার একটা তালিকাও তৈরি করা হয়েছে ওই পুস্তিকায়।
আরও পড়ুন: গুজরাতে ভোট টানতে এখন চরণের চরণে বিজেপি
মেলায় এ ধরনের পুস্তিকা বিলোনোর ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়েছে গিয়েছে রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শশী তারুর যেমন এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ধর্মীয় মেলায় ছাত্রদের আসা বাধ্যতামূলক করা উচিত হয়নি। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, মেলায় এ ধরনের পুস্তিকা ছড়িয়ে বিদ্বেষ ও ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy