নইমউদ্দিনের সেই ছবি।
কোনও ছবিতে সে রয়েছে পুলিশের উর্দিতে। কোথাও তার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। গণপ্রহারে নিহত সেই নইমউদ্দিনকে নিয়ে প্রশ্ন ছড়িয়েছে করিমগঞ্জে— বদরপুরের ওই যুবক কি জঙ্গি সংগঠন তৈরির ছক কষছিল? জবাব খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ক্রমে বদরপুরের ত্রাস হয়ে উঠছিল নইমউদ্দিন। অতিষ্ঠ হয়ে এক বার তার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছিল স্থানীয় মানুষ। খুন-সহ একাধিক মামলা ছিল ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। কিন্তু পুলিশ তার নাগাল পাচ্ছিল না। অস্ত্র আইনে ফেঁসে কয়েক দিন আগে জেল হেফাজতে ছিল নইমউদ্দিন। রেহাই পাওয়ার পর তার তাণ্ডব কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে বদরপুরের একটি দোকান থেকে শ’চারেক টাকার জিনিস নেয় সে। দোকান-মালিক টাকা চেয়েছিলেন। অভিযোগ, তাঁর গলায় ছুরি ধরে নইমউদ্দিন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত সন্ধেয় গ্রামবাসীরা নইমের বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরে ভাঙচুরের পর নইমের খোঁজ শুরু হয়। বেগতিক দেখে করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দির সীমানার বড়ছড়ার জঙ্গলে লুকিয়েছিল নইম। সেখানেই তাকে ধরে ফেলে স্থানীয় মানুষ। শুরু হয় গণপিটুনি। রাত ১১টা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গুরুতর জখম নইমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাত ২টো নাগাদ তার মৃত্যু হয়।
আজ বদরপুর পুলিশ নইমের বাড়ি থেকে কয়েকটি ছবি খুঁজে পায়। সে সব দেখে হতবাক পুলিশকর্তারা। কোনও ছবিতে নইমের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। একটি ছবিতে তাকে দেখা যায় পুলিশের উর্দিতে। অন্য একটি ছবিতে এক কিশোরীর হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র।
এতেই চিন্তায় পড়ে পুলিশ। নইম জঙ্গি সংগঠন তৈরির ছক কষছিল কি না, তা নিয়ে শুরু হয় বিচার বিবেচনা। করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রদীপরঞ্জন কর জানিয়েছেন, যে দর্জি নইমকে পুলিশের উর্দি তৈরি করে দিয়েছিলেন, তার খোঁজ চলবে। তিনি আরও জানান, ডিমাপুর থেকে চোরাপথে করিমগঞ্জে অস্ত্র ঢুকছে। করিমগঞ্জের অনেকেই ডিমাপুরে যাতায়াত করেন। পুলিশের নজর এড়িয়ে অস্ত্রের পাশাপাশি চলছে মাদকের চোরাকারবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাতাবাড়ি থেকে পিস্তল-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের পর জানা যায়, ডিমাপুরে ২ হাজার টাকায় আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। এ সব দিকে তাকিয়ে ডিমাপুর থেকে করিমগঞ্জমুখী গাড়িগুলিতে ব্যাপক তল্লাশির জন্য বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন এসপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy