নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্রের কাজের খতিয়ান না দেওয়ায় নিজের দলের সাংসদরাই ধমক খেলেন প্রধানমন্ত্রীর।
আজ সকালে সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে দলের সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারের দু’বছর পালন হওয়ার সময়ই তিনি সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্রের কাজের খতিয়ানের রিপোর্ট দিতে হবে। কিন্তু এখনও সিংহভাগ সাংসদই সেই রিপোর্ট পেশ করেননি। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনাদের অধিকাংশই এই রিপোর্ট দেননি। এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়। শীঘ্রই আপনাদের নির্বাচনী কেন্দ্রের রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহের কাছে জমা দিন। অনলাইনেও প্রকাশ করুন, যাতে সকলে দেখতে পারেন।’’
সরকারের দু’বছর পূর্ণ হওয়ার সময়েই সব সাংসদকে প্রধানমন্ত্রী ‘উন্নয়ন-পর্ব’ পালন করার কথা বলেন। সেই সময়েই বলেন, নিজেদের এলাকার কাজকে তুলে ধরতে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই কাজটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর ভিত্তিতেই পরের নির্বাচনে মানুষ ভোট দেবেন। যদি ভাল কাজ না হয়, তাহলে তাঁদের আর প্রার্থীও করা হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে সব প্রকল্প ঘোষণা হচ্ছে, সেগুলির সাফল্যও নির্ভর করছে তৃণমূল স্তরে গিয়ে সাংসদরা যদি এর রূপায়ণ করেন। এই মুহূর্তে লোকসভায় মোট সাংসদের অর্ধেকের বেশি বিজেপির। ফলে বিজেপির সাংসদরা ভাল কাজ করে যদি নজির তৈরি করেন, তাহলে অন্য দলের সঙ্গেও ফারাক করা যাবে। দেশের অর্ধেক অংশে অন্তত ভাল কাজের নমুনা রাখা যাবে। মানুষও জানতে পারবেন, মোদী সরকার কেন্দ্রে কী কী কাজ করছে।
আরও পড়ুন:বেলাগাম গো-রক্ষা বাহিনীর হুমকি মোদীকে
রিপোর্ট জমা দেননি, এমন এক সাংসদ আজ কিছুটা কুণ্ঠাতেই বলেন, অনেক কাজ করার জন্য রাজ্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বাধা আসছে। তার উপর সাংসদদের যে এক একটি গ্রাম দত্তক নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তার জন্য পৃথক কোনও অর্থ বরাদ্দও করা হয়নি। এক গ্রামের কাজ হলে আশপাশের বাকি গ্রামগুলিও রুষ্ট হয়। সেগুলি সাংসদদেরই ভোগান্তি। কিন্তু সরকারের এক মন্ত্রীর মতে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে কাজ হয়েছে সেটির খতিয়ান দিতে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে ফি-বছর তাঁর কাজের খতিয়ান দিতে হয়। পাঁচ বছর পর তাঁকে জনতার সামনে গিয়ে জানাতে হবে, কী কাজ করেছেন। ফলে সাংসদরা তাঁদের কাজের খতিয়ান জানাবেন না কেন? যদি সেই কাজ করতে গিয়ে কোনও অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়, তা দলের নেতৃত্বকে তাঁরা জানাবেন। মন্ত্রীদের জানাবেন। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। কিন্তু কাজ না করে কেউ পার পাবেন না। সেটাই প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy