ভাঙচুর: পটনায় বিজেপি দফতরের সামনে। ছবি: রঞ্জিৎ দে
লালুপ্রসাদের বাড়িতে আয়কর হানার পর দিন রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পটনার বিজেপি অফিস চত্বর। আরজেডি সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হলেন বিজেপির ৬ কর্মী। বুধবার দুপুরে ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় গোটা শহরে। আজই ফোনে লালুর সঙ্গে কথা বলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধাী। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও বিরোধীদের উপর মোদী সরকারের আক্রমণ নিয়ে তাঁদের কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ঝামেলার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করে আরজেডি। দলের মুখপাত্র মনোজ ঝা বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করছিলেন। বিজেপি সদস্যরা হামলা চালান। আরজেডি কর্মীরাই জখম হন।’’ প্রদেশ বিজেপি সভাপতি নিত্যানন্দ রায় নালিশ জানান, ‘‘লালুর নির্দেশেই হামলা হয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘নীতীশ কুমার আইনের শাসনের কথা বলেন। কোথায় গেল সেই শাসন? আরজেডির দুর্নীতির কথা তুলতেই আমাদের উপর হামলা করা হল।’’ বিজেপি এ নিয়ে পুলিশে এফআইআর দায়ের করে। জেডিইউয়ের তরফে জানানো হয়, আইন নিজের পথেই চলবে।
বিজেপির অভিযোগ, বুধবার সকালে শ’দুয়েক আরজেডি সমর্থক লাঠি হাতে বীরচন্দ্র পটেল পথে মিছিল শুরু করেন। বিজেপি নেতা সুশীল মোদীর বিরুদ্ধে তাঁরা স্লোগান তোলেন। মিছিলে সামিল কয়েক জন প্রদেশ বিজেপি অফিসে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেখানে মোতায়েন পুলিশকর্মীরা বাধা দিলে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আরজেডি কর্মীদের ইটের আঘাতে কয়েক জন বিজেপি কর্মী জখম হন। মারধর করা হয় পথচারীদেরও। বিজেপি অফিসের সামনে কয়েকটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে পৌঁছন পটনার পুলিশ সুপার চন্দন কুশওয়াহা। পুলিশ লাঠি চালিয়ে আরজেডি নেতা-কর্মীদের হটিয়ে দেয়। পুলিশ সুপার জানান, হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
হামলার পর বিজেপি নেতারা রাজ্য দফতরে পৌঁছন। বিজেপিও প্রতিবাদ মিছিল বের করে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝি হামলার নিন্দা করেন। সুশীল মোদী বলেন, ‘‘আমরা ইটের বদলে পাথর ছুড়তে জানি। কিন্তু হিংসার বিকল্প হিংসা নয়।’’ পরে বিজেপি ও আরজেডি পৃথক ভাবে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy