রেল বোর্ডের নয়া নিয়মনীতির বেড়াজালে পড়ে ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগ অব্যাহত। রবিবারের পরে সোমবারও হাওড়া থেকে মুম্বইগামী দুরন্ত এক্সপ্রেসের যাত্রীদের বেশ কিছুক্ষণ অভুক্ত ও নির্জলা থাকতে হল।
‘চাকরির গ্যারান্টি’ দিতে হবে এই দাবি নিয়ে সোমবার সকালে টাটানগর স্টেশনের কিছু আগে পরিবেশনকারীরা খাবার সরবরাহ বন্ধ করে চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই বসে পড়েন। আচমকা খাবার পরিবেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের সঙ্গে পরিবেশনকারীদের প্রথমে বচসা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। ট্রেনটি টাটানগর স্টেশনে ঢুকলে স্টেশনের রেলকর্মীরা ছুটে আসেন। তার পরে গোলমাল আরও বেড়ে যায়। পরিবেশনকারীরা তখন ট্রেন ছেড়ে প্ল্যাটফর্মে নেমে পড়েন। তাদের পিছন পিছন যাত্রীদের অনেকেই ট্রেন থেকে নেমে চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেন। রেলকর্তারা পরিবেশনকারীদের অনেক বুঝিয়ে ট্রেন তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু গোলমাল ক্রমশ বাড়ছে দেখে ঘণ্টাখানেক পরে রেল পুলিশ কার্যত জোর করেই পরিবেশনকারীদের ট্রেনে তুলে দেয়।
কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। ট্রেনটি ঝারসুগুদায় পৌঁছলে পরিবেশনকারীরা ফের ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন মধ্যাহ্নভোজের সময়। খাবার না পেয়ে এ বারে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাকি যাত্রীরাও। খবর পেয়ে আবারও ছুটে আসেন রেলের বাণিজ্যিক বিভাগের কর্তা-কর্মীরা। তড়িঘড়ি রেলের বাণিজ্যিক বিভাগের কয়েক জন কর্মীকে এনে ট্রেনে খাবার পরিবেশন করার ব্যবস্থা করা হয়। সংখ্যায় কম হলেও বাকি রাস্তায় গোটা ট্রেনে ওই ক’জন রেল কর্মীই কোনও মতে খাবার পরিবেশনের কাজ করছেন বলে জানিয়েছে রেল। পুরনো পরিবেশনকারীরা আর ট্রেনটিতে যাননি।