ফাইল চিত্র।
এত দিন যা আশঙ্কা ছিল, আজ তাতে সিলমোহর দিল সিএজি।
রাজধানী, দুরন্তের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনের টিকিটে ‘ফ্লেক্সি ফেয়ার’ পদ্ধতি চালু হওয়ায় আয় বাড়লেও যাত্রী কমেছে বলে জানিয়ে দিল কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। আজ সংসদে পেশ হওয়া সিএজি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাড়তি ভাড়ার ফলে প্রিমিয়াম ট্রেনে আসন খালি থাকছে। অনেক যাত্রীই বেছে নিচ্ছেন সস্তার বিমান পরিষেবা। শুধু এসি ক্লাসের প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণি নয়, এমনকি রেলের সবচেয়ে লাভজনক বাতানুকূল তৃতীয় শ্রেণির যাত্রীরাও বাড়তি ভাড়ার কারণে বিমানকেই বেছে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে সিএজি। ওই রিপোর্ট আসার পরে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছে রেল। ফ্লেক্সি ফেয়ার ব্যবস্থা চালু করে বাড়তি আয় হওয়ায় তা আপাতত বাতিল করা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে রেলবোর্ডে।
আয় বাড়াতে, রাজধানী-শতাব্দীতে ফ্লেক্সি ফেয়ার চালু করে রেল। কিন্তু ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ থেকে ৩১ জুলাই, ২০১৭ পর্যন্ত সমীক্ষা চালিয়ে সিএজি দেখেছে, এর ফলে ওই প্রিমিয়াম ট্রেনগুলির আয় ৫৫২ কোটি টাকা বাড়লেও প্রায় ৬.৭৫ লক্ষ যাত্রী ওই ট্রেনগুলিতে তার আগের বছরের তুলনায় কম চড়েছেন। যাঁদের বড় অংশ বেছে নিয়েছেন বিমান।
যাত্রীদের মধ্যে একটি সমীক্ষাও চালায় সিএজি। তাতে দেখা গেছে, সিংহ ভাগ যাত্রীই নানা কারণে রেলের বদলে বিমানকে বেছে নিচ্ছেন গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য। সিএজি জানিয়েছে, অধিকাংশের বক্তব্য, এক মাস আগেও বাড়তি টাকা দিয়ে রেলের টিকিট কাটতে হচ্ছে। তুল্যমূল্য বিচারে দেখা যাচ্ছে, এক মাসে আগে রেল ও বিমানের যাত্রিভাড়া প্রায় এক। বা বিমানের ক্ষেত্রে সামান্য বেশি। তাই যাত্রীরা দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য বিমানকেই বেছে নিচ্ছেন। পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন না হলে রেল আরও যাত্রী হারাবে বলেই সতর্ক করে দিয়েছে সিএজি। সংস্থার পক্ষ থেকে ফ্লেক্সি ফেয়ার ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা করে দেখতে বলা হয়েছে রেলকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy