পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৭ রাজ্যের ৫৯টি আসনে রাজ্যসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। যার মধ্যে মোদী সরকারের ৮ জন মন্ত্রীর ভাগ্যও নির্ধারিত হবে। তবে আসন বাড়লেও এ যাত্রায় রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বিজেপি।
কমিশন জানিয়েছে, আগামী এপ্রিল-মে মাসে ১৬টি রাজ্যে ৫৮ জন সদস্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর পাশাপাশি কেরলের পদত্যাগী সাংসদ বীরেন্দ্র কুমারের আসনেও উপনির্বাচন হবে। সচিন তেন্ডুলকর, রেখার মতো কংগ্রেস জমানায় মনোনীত প্রার্থীদেরও মেয়াদ ফুরোচ্ছে। সে জায়গায় আসবেন অন্য কেউ। ভোট ২৩ মার্চ আর সে দিনই ফল ঘোষণা। বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ৫ মার্চ। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মার্চ।
বাংলা থেকে এই দফায় খালি হচ্ছে পাঁচটি আসন। তার মধ্যে তৃণমূলের হাতে আছে চারটি এবং অন্যটিতে সিপিএমের সাংসদ তপন সেন। বিধানসভার বর্তমান বিন্যাস অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে চারটি আসনেই তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। পঞ্চম আসনে বাম ও কংগ্রেস আলাদা লড়লে (তাদের জোট এখন জটিল) তৃণমূল সেটিও বার করে নেওয়ার চেষ্টা চালাবে। সেই সম্ভাবনা বুঝেই কোনও ‘নিরপেক্ষ’ প্রার্থী দাঁড় করিয়ে কাছাকাছি আসা যায় কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস ও বাম শিবিরে। তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদদের মধ্যে কুণাল ঘোষ এবং বিজেপি-তে চলে যাওয়া মুকুল রায়ের জায়গায় নতুন মুখ মনোনয়ন নিশ্চিত। মুকুলবাবু আবার আশায় আছেন অন্য রাজ্য থেকে রাজ্যসভার পথ খোলার!