Advertisement
E-Paper

রাম, কৃষ্ণ গাঁজা খেতেন না, আপনারা কেন! কুম্ভমেলায় সাধুদের কল্কে কেড়ে নিলেন রামদেব

নিজেকেও সাধু-সন্তদের সঙ্গে একাত্ম করে যোগগুরু বলেন, “আমরা রাম, কৃষ্ণ এঁদের জীবনদর্শন অনুসরণ করি। কিন্তু তাঁরা কখনও গাঁজা খাননি। তাহলে আমরা কেন সেই নেশা করব? আমাদের শপথ নেওয়া উচিত, আর কখনও কোনও নেশা করব না।”

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:৪৭
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

কিছু দিন আগেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দাওয়াই বাৎলেছিলেন। এ বার ধূমপানের বিরুদ্ধে প্রচারে অভিনব ‘শিক্ষা’ দিলেন রামদেবকুম্ভ মেলায় গিয়ে সাধু-সন্তদের কাছ থেকে কেড়ে নিলেন গাঁজার কলকে। ধূমপায়ীদের বিরুদ্ধে যোগগুরুর বার্তা, “রাম, কৃষ্ণ এঁরা যখন ধুমপান করতেন না, তখন আপনারা তাঁদের ভক্ত হয়ে কেন গাঁজা খাবেন।”

সাধু-সন্তদের সমাবেশ মানেই গাঁজার আখড়া। প্রয়াগরাজে চলছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ কুম্ভমেলা।সারা বিশ্বের সাধু-সন্তদের আগমনে গমগম করছে গোটা এলাকা। রাত দিন সেখানে তাই গাঁজার ধোঁয়া ওড়াটাইস্বাভাবিক। কিন্তু সেই গঞ্জিকা সেবনের বিরুদ্ধেই এ বার কার্যত রুখে দাঁড়ালেন রামদেব। বুধবার সাধু সন্তদের আখড়ায় গিয়ে গাঁজার কল্কে কেড়ে নিয়ে নিজের হেফাজতে নিয়ে নিলেন। এবং সেগুলি আর কাউকে ফেরতও দেননি তিনি।

নিজেকেও সাধু-সন্তদের সঙ্গে একাত্ম করে যোগগুরু বলেন, “আমরা রাম, কৃষ্ণ এঁদের জীবনদর্শন অনুসরণ করি। কিন্তু তাঁরা কখনও গাঁজা খাননি। তাহলে আমরা কেন সেই নেশা করব? আমাদের শপথ নেওয়া উচিত, আর কখনও কোনও নেশা করব না।”শুধু বলা নয়, সাধুদের দিয়ে রীতমতো সেই শপথ করিয়েও নেন রামদেব।

আরও পড়ুন: মোদী মিথ্যাবাদী চৌকিদার, আমি মানুষের পাহারাদার: মমতা

সাধু হতে গেলে কার্যত সংসার-সমাজ-পরিবার ত্যাগ করতে হয়। অনেকে আবার বস্ত্রপর্যন্ত পরিত্যাগ করেছেন। ত্যাগের এই উদাহরণ তুলে ধরে রামদেবের বার্তা, “আমরা সাধুরা বাড়ি ছেড়েছি। বৃহত্তর স্বার্থে মা-বাবাকে ছেড়েছি। তাহলে কেন আমরা নেশা ছাড়তে পারব না?’’

কিন্তু কেড়ে নেওয়া কল্কেগুলি কী হবে? বাবা রামদেব পরে জানান, তিনি একটি সংরক্ষণশালা তৈরি করছেন। সেখানেই শোভা বর্ধন করবে সেগুলি। যোগগুরুর বক্তব্য, ‘‘যুব সমাজকে ধূমপান ছাড়তে আবেদন করেছি। তার থেকে এই মহাত্মারাই বা কেন বাদ যাবেন।’’

আরও পড়ুন: নির্মাণের ১৪০০ কোটি টাকা কোথায় গেল? রামমন্দির ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ গেরুয়া শিবিরেই

বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৩৩ কোটি। ক্রমেই সেই সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এ নিয়েও সপ্তাহ খানেক আগেই দাওয়াই দিয়েছেন পতঞ্জলীর কর্ণধার। তিনি বলেছিলেন, ‘‘হিন্দুহোক বা মুসলিম, বাছবিচার না করে যে সব বাবা-মা দু’টির বেশি সন্তানের জন্ম দেবেন, তাঁদের ভোটাধিকার, চাকরি এবং চিকিৎসার সুযোগ কেড়ে নেওয়া উচিত সরকারের।

৫৫ দিনের কুম্ভ মেলা শেষ হচ্ছে আগামী ৪ মার্চ। সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ১৩ কোটি মানুষের সমাগম হবে বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)

Ramdev Kumbh Mela Cannabis
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy