Ramnami Samaj: More than 100 Years old Tradition of Tattooing ‘Ram Naam’ Across Their Bodies dgtl
Ramnami Samaj
মন্দিরে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা, সারা গায়ে ‘রাম’ নামের ট্যাটু করান এই গ্রামের দলিতরা
ট্যাটু এখন ‘ইন ফ্যাশন’। ট্যাটু যখন কোনও সম্প্রদায়ের শতাধিক মানুষকে সামাজিক বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেয় তখন তা ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেয়। ঠিক যেমন ছত্তীসগঢ়ের রামনামী সমাজ ও তাঁদের ট্যাটু। যা ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে একেবারে অন্য কারণে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:৩৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
ছত্তীসগঢ়ের রাইপুর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছারপোরা গ্রাম যেখানে বসবাস করেন এই রামনামী সমাজের মানুষ।
০২১০
ছারপোরা গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই দলিত সম্প্রদায়ের। এঁরা প্রায় সবাই রামনামী সমাজের অন্তর্ভূক্ত।
০৩১০
‘রামনামী সমাজ’, নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এই সম্প্রোদায়ের মানুষরা রামচন্দ্রের ভক্ত।
০৪১০
দলিত হওয়ার ‘অপরাধে’ রামের ভক্ত হলেও রামনামী সমাজের মানুষদের মন্দিরে যাওয়ার অধিকার নেই।
০৫১০
কয়েকশো বছর ধরে ‘নিচু জাত’ বলে মন্দিরে যাওয়া-সহ নানা সামাজিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছারপোরা গ্রামের দলিতরা।
০৬১০
শোনা যায়, গ্রামের দলিতদের সামাজিক বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দিতে ১৮৯০ নাগাদ রাম ভক্ত পরশুরাম ভরদ্বাজ এই সমাজ গড়েছিলেন।
০৭১০
রামনামী সমাজের রীতি অনুযায়ী এই সম্প্রদায়ের মানুষ নিজের সারা শরীরে ‘রাম নাম’ ট্যাটু করে রাখেন। অনেকে সারা মুখেও ‘রাম নাম’ লিখে রাখতেন।
০৮১০
১৯২০-র গোড়ার দিকে রামনামী সমাজের প্রতিষ্ঠাতা পরশুরাম যখন মারা যান তখন গ্রামে ‘রাম নাম’ ট্যাটু করা ভক্তর সংখ্যা ছিল প্রায় ২০ হাজার।
০৯১০
মাত্র ১৩-১৪ বছর বয়সে বিয়ের পরই যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতিতে ‘রাম নাম’ ট্যাটু করার মাধ্যমে ‘নবজন্ম’ হত রামনামী সমাজের অনুসারিদের।
১০১০
এখন এই গ্রামে জাতপাতের সমস্যা তেমন নেই আর। তাই মন্দিরে ঢুকতেও আর কোনও বাধা নেই এই গ্রামের দলিতদের। তাই ‘রাম নাম’ ট্যাটু করা ভক্তর সংখ্যাও এখন অনেক কমে আসছে।