ইঁদুরের উপদ্রব ঠেকাতে শরণ নিন ঘরোয়া কিছু উপায়ের। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
বিহারের ইঁদুরের এমনিতেই অনেক বদনাম! এ বার ইঁদুর অভিযুক্ত হিরে চুরির অভিযোগ। পুলিশ এফআইআরে লেখা হল ইঁদুরের কথাই।
পটনার বোরিং রোডের একটি নামী গহনার দোকানে হিরের গয়না চুরিতে অভিযুক্ত ইঁদুর। এবং তার প্রমাণ মিলেছে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজেই। এখন তন্নতন্ন করে চোরাই মাল খোঁজা হচ্ছে। দোকানের ফলস সিলিং থেকে দেওয়ালের গর্ত, কিছুই বাদ দিচ্ছে না পুলিশ। এর আগে ‘পুলিশের মালখানা থেকে মদ খেয়ে নেওয়া’ বা ‘বাঁধে গর্ত করে তা ভেঙে দেওয়ায় ইঁদুরের দলের’ বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। তবে এ বার পুলিশের হাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে।
গহনার দোকানের কর্তারা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে বেশ কয়েকটি দামী হিরের গয়না চুরি যায়। স্বাভাবিক ভাবেই দোকানের কর্মচারীদের সন্দেহ করে কর্তৃপক্ষ। থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। দোকানের ভিতরে থাকা তিনটি সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়।
তাতেই দেখা যায় মুখে করে হিরের গয়নার প্লাস্টিক প্যাকেট নিয়ে চম্পট দিচ্ছে ইঁদুর। আর তা এতই সন্তর্পণে যে কারও নজরেই পড়ছে না। ‘জুয়েল থিফ’ ইঁদুরের কাণ্ড দেখার পরে অবাক দোকানের কর্তারাও। দোকানের ফলস সিলিং ভেঙে এখন চলছে গয়নার খোঁজ। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হিরের গয়না পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: জল্পনা মুছে সনিয়া গাঁধী লড়ছেন রায়বরেলী থেকে, অমেঠীতে রাহুল
এর আগে বক্সার জেলা পুলিশের মালখানায় কয়েক লক্ষ গ্যালন মদ গায়েব হয়ে যায়। সেই দায় চাপানো হয় ইঁদুরের উপরে। পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন বিরোধী নেতারা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ঘুরপথে ওই মদ চোরাবাজারে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশই। একই ভাবে ভাগলপুরের কহলগাঁওয়ে সেচ দফতরের বাঁধ উদ্বোধন করার আগের দিন তা ভেঙে পড়ে। সরকার দায় চাপায় সেই ইঁদুরের উপরেই। তাদের গর্তের ফলেই বাঁধ ভেঙেছে বলে দাবি করেন সেচমন্ত্রী ললন সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy