Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
100 days work

100 days work: শহরেও ১০০ দিনের কাজ চালুর সুপারিশ

এ বার প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদই শহরের বেকারদের জন্য গ্রামের ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পের সুপারিশ করল।

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২২ ০৬:৫০
Share: Save:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইউপিএ সরকারের ১০০ দিনের কাজকে গর্ত খোঁড়ার প্রকল্প বলে কটাক্ষ করেছিলেন। কোভিডের জেরে লকডাউনের সময় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পই শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের একমাত্র সহায় হয়ে উঠেছিল।

এ বার প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদই শহরের বেকারদের জন্য গ্রামের ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পের সুপারিশ করল। সকলের জন্য ন্যূনতম আয়ের বন্দোবস্ত করারও সুপারিশ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। দেশে আর্থিক অসাম্য কমাতে সামাজিক ক্ষেত্রে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দেরও সুপারিশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশে ‘ইনস্টিটিউট ফর কম্পিটিটিভনেস’ দেশের আর্থিক অসাম্য নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে। আজ প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায় ‘দ্য স্টেট অব ইনইক্যুয়ালিটি ইন ইন্ডিয়া’ নামের সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রাম ও শহরের মানুষের মধ্যে কাজে যোগদানের হারের ফারাকের হিসেবে বলা যায়, শহরেও মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ রোজগার নিশ্চয়তার মতো প্রকল্প চালু করা উচিত। যেখানে চাহিদা অনুযায়ী নিশ্চিত কাজ মিলবে। এর ফলে উদ্বৃত্ত শ্রমিকদের রোজগার মিলবে। আয়ের অসাম্য কমাতে, মানুষের ন্যূনতম আয় বাড়াতে সকলের জন্য ন্যূনতম আয় বা সরকারি ভাতার প্রকল্প চালুরও সুপারিশ করা হয়েছে। মোদী সরকারের প্রথম জমানায় প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম এই ন্যূনতম আয়ের প্রকল্পের সুপারিশ করেছিলেন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেতন বাড়লেও তার সুবিধা খুব কম মানুষই পেয়েছেন। ফলে গরিবরা আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রেও ফারাক যথেষ্ট। ফলে মহিলাদের কাজ খোঁজার হার কমেছে। মাত্র এক শতাংশ মানুষ মোট আয়ের ছয়-সাত শতাংশ রোজগার করেন। আয়ের মাপকাঠিতে উপরের সারিতে থাকা ১০ শতাংশ মানুষ মোট আয়ের তিন ভাগের এক ভাগ আয় করেন। শিক্ষার হার যত বাড়ে, বেকারত্বের হারও ততই বাড়ে। ২০১৯-২০-র সমীক্ষা অনুযায়ী, রোজগেরে মানুষের মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ স্বনিযুক্ত কর্মী। মোট কর্মীদের মধ্যে তাদের সংখ্যা ৪৫ শতাংশের বেশি। নিয়মিত বেতনভুক কর্মীর হার ৩৩.৫ শতাংশ, ঠিকা কর্মীর হার ২০.৭১ শতাংশ। সংখ্যায় বেশি হলেও অধিকাংশ স্বনিযুক্ত কর্মী কম আয়ের শ্রেণিতে পড়েন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

100 days work center
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE