প্রতীকী ছবি।
মুম্বই-দিল্লি অগস্ট ক্রান্তি রাজধানী এক্সপ্রেসে ডাকাতির ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজধানী-সহ দূরপাল্লার সমস্ত ট্রেনে অবিলম্বে রাতের পাহারা বাড়ানোর জন্য রেল মন্ত্রককে কড়া নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়।
প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকা ও গয়না খোয়া যাওয়া সত্ত্বেও গত কাল ডাকাতির ঘটনাটিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সূত্রের দাবি, আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় হস্তক্ষেপ করায় টনক নড়ে রেলের। ঘটনাটি নিয়ে খোদ মোদী যে ক্ষুব্ধ, সেই বার্তাও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় রেল মন্ত্রককে। বস্তুত, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের আঁচ পেয়েই আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে পূর্ব-নির্ধারিত মউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিয়ে যাত্রী-সুরক্ষা সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকে বসতে হয় রেলকর্তাদের। ঠিক হয়, মউ সই হবে বিকেলের দিকে। পরে সেই অনুষ্ঠান আজকের মতো বাতিলই করে দেওয়া হয়।
রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মাঝরাতে অগস্ট ক্রান্তি রাজধানীতে এই ঘটনার পরে রেল পুলিশের কাউকেই ওই ট্রেনে দেখতে পাননি যাত্রীরা। কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল, তা নিয়ে ট্রেনটির যাত্রাপথের সব ক’টি জোনের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, হয় খাবারে কোনও নেশার জিনিস মিশিয়ে অথবা কামরায় ক্লোরোফর্ম ছড়িয়ে তাঁদের ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাই ট্রেনের প্যান্ট্রি ও সাফাই কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে অবশিষ্ট খাবারের নমুনা।
রেল পুলিশের কয়েক হাজার পদ খালি থাকায় বর্তমানে ট্রেন-পিছু পর্যাপ্ত পুলিশ দেওয়া যাচ্ছে না। এই সমস্যা মেটাতে অবিলম্বে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে রেল। কিন্তু সেই নিয়োগ কবে শুরু হবে, তার কোনও স্পষ্ট দিশা দিতে পারেনি সুরেশ প্রভুর মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy