Advertisement
০৫ মে ২০২৪
National News

অবৈধ সম্পত্তি: ইডির জেরায় হাজির হলেন রবার্ট বঢরা

ইডি অফিসে যাওয়ার আগে রবার্ট এ দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এই নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি আমাকে ১১ বার ডাকল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এখনও পর্যন্ত আমাকে প্রায় ৭০ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে। প্রতি বারই আমি তদন্তকারীদের সঙ্গে সঙযোগিতা করেছি। আগামী দিনেও করব। যত দিন না অভিযোগগুলি মিথ্যা ও ভুয়ো প্রমাণিত হয়।’’

জেরায় হাজির হতে ইডি অফিসে এলেন রবার্ট বঢরা। বৃহস্পতিবার, দিল্লিতে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

জেরায় হাজির হতে ইডি অফিসে এলেন রবার্ট বঢরা। বৃহস্পতিবার, দিল্লিতে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৯ ১৪:১৭
Share: Save:

তদন্তকারীরা যেমন বলেছিলেন, সেই মতো বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার একটু আগেই দিল্লির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসে পৌঁছে গেলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর স্বামী রবার্ট বঢরা। গাড়িতে এসে স্ত্রী প্রিয়ঙ্কাই রবার্টকে নামিয়ে দিয়ে যান ইডি অফিসে। লন্ডন, দুবাই, রাজস্থান, হরিয়ানা ও দিল্লিতে রবার্ট ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে ও বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ স্থাবর সম্পত্তি থাকার অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবার্টকে ডাকা হয়েছে ইডি অফিসে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই নিয়ে ৯ বার রবার্টকে ডাকল সিবিআই এবং ইডি।

ইডি অফিসে যাওয়ার আগে রবার্ট এ দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এই নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি আমাকে ১১ বার ডাকল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এখনও পর্যন্ত আমাকে প্রায় ৭০ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে। প্রতি বারই আমি তদন্তকারীদের সঙ্গে সঙযোগিতা করেছি। আগামী দিনেও করব। যত দিন না অভিযোগগুলি মিথ্যা ও ভুয়ো প্রমাণিত হয়।’’

লোকসভা ভোটের প্রচারে যত বার সমালোচনা হয়েছে রবার্টের, তত বারই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। বার বার বলেছেন, ‘‘আমি সব সময় স্বামীর পাশে রয়েছি।’’ এ দিনও ইডির অফিসের সামনে রবার্টকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘ওঁকে নিয়েই তো এলাম। ওঁর পাশেই রয়েছি।’’ ফেব্রুয়ারিতে যখন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবার্ট ও তাঁর মাকে ডেকেছিল ইডি, তখন প্রিয়ঙ্কা গিয়েছিলেন জয়পুরে।

আরও পড়ুন- সিবিআইয়ের নোটিস খারিজ করা হোক, রাজীবকে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের, শুনানি আজ​

আরও পড়ুন- জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাল রবার্ট বঢরাকে ডাকল ইডি​

ইডির জেরায় যাওয়ার আগে রবার্টও সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘ভারতীয় বিচারব্যবস্থার উপর আমার ভরসা রয়েছে পুরোপুরি। এখনও মনে করি, তাকে প্রভাবিত করা যায় না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সব নিয়ম ও নোটিস আমি মেনে চলব। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলে আমি আসব।’’

তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, এই আশঙ্কায় গত এপ্রিলেই দিল্লির একটি শুনানি আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন রবার্ট। কিন্তু তার পর সেই জামিন বাতিল করার আর্জি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে যায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জানায়, লন্ডন, দুবাই, রাজস্থান, হরিয়ানা ও দিল্লিতে রবার্ট ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে ও বেনামে বিপুল পরিমাণ স্থাবর সম্পত্তি থাকার নতুন কয়েকটি তথ্যপ্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। সেগুলি নিয়ে রবার্টকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন।

ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়, নামে বা বেনামে লন্ডনে অন্তত ৯টি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে রবার্টের। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ পাউন্ড। সেই ৯টি সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে তিনটি ভিলা। বাকিগুলি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। সেই সবই কেনা হয়েছিল ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে, যখন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ সরকার।

ইডির তরফে আদালতে এও জানানো হয়েছে, লন্ডনের ১২, ব্রায়ানস্টন স্কোয়ারে ওই সময় একটি ম্যানসনও কিনেছিলেন রবার্ট। জড়িত ছিলেন হরিয়ানা ও রাজস্থানে জমি কেনাবেচাতেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE