E-Paper

মানুষ অরণ্য ছাড়তেই বুড়াচাপড়িতে বাঘ-হাতি

অসমের শোণিতপুর ও নগাঁও জেলা মিলিয়ে রয়েছে লাওখোয়া-বুড়াচাপড়ি অভয়ারণ্য। তাকে এখন কাজিরাঙার সংযোজিত এলাকার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫৭
Picture of Elephant.

অসমের বুড়াচাপড়ি অভয়ারণ্যে হাতি। নিজস্ব চিত্র

অভয়ারণ্য এক সময়ে জনারণ্যে পরিণত হয়েছিল। উচ্ছেদের পরে ফের জনশূন্য হওয়া বুড়াচাপড়ির জঙ্গলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেখা দিল হাতি, হরিণ, বাঘ!

অসমের শোণিতপুর ও নগাঁও জেলা মিলিয়ে রয়েছে লাওখোয়া-বুড়াচাপড়ি অভয়ারণ্য। তাকে এখন কাজিরাঙার সংযোজিত এলাকার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বুড়াচাপড়িকে দখলমুক্ত করতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানে ২০০৯ হেক্টর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। বনভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে ২৫৫৩টি পরিবারকে। উচ্ছেদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানকার জমিতে হাতির পালের বিচরণ পশুপ্রেমীদের উৎসাহিত করেছে। হাতির দেখা মিলেছে শিয়ালিচর, লাঠিমারি এলাকায়। স্থানীয় বনকর্তারা জানান, বুড়াচাপড়িতে বাঘেরও দেখা মিলেছে। ঘুরছে হরিণের দল।

লাউখোয়া বুড়াচাপড়ি পুনরুদ্ধারে কাজ করা পরিবেশপ্রেমী দিলওয়ার হুসেন জানান, ১৯৮৩ সালে অসমে অস্থিরতার সময়ে অস্ত্র লুঠের আশঙ্কায় রেঞ্জ অফিস থেকে বনরক্ষীরা সব অস্ত্র নিয়ে শহরে চলে আসেন। সেই সুযোগে ধিঙের জিতেন বরা বুড়াচাপড়িতে ৩৩টি গন্ডার হত্যা করেছিল। স্থানীয়েরা বিষ দিয়ে বাঘগুলিকে হত্যা করে। জঙ্গলের জমিতে তৈরি হতে থাকে গ্রাম। পরে আলফা জিতেন বরাকে গুলি করে মারে। বুড়াচাপড়ির হৃতগৌরব ফেরাতে কাজ করা কুলেন দাস জানান, এখন সেখানে দুটি বাঘ ফিরেছে। এসেছে বারাশিঙার দল। প্রতিস্থাপণ হওয়া গন্ডারদের বাঁচানো না গেলেও পরে দু’টি গন্ডার নিজে থেকেই এখানকার আতিথ্য নিয়েছিল। আশা করা যাচ্ছে গন্ডার ফিরবে এখানে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Assam elephant Tiger

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy