ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি কী হওয়া উচিত? ক্যাস্ট্রেশন (লিঙ্গচ্ছেদ) কি উপযুক্ত শাস্তি? এই বিতর্কে অনেক দিন থেকেই উত্তাল গোটা দেশ। দুনিয়ার অন্যত্রও এই বিতর্ক আছে। অনেকের মতে, আইন মোতাবেকই ধর্ষণের শাস্তি হোক লিঙ্গচ্ছেদ। কেউ মনে করেন, ধর্ষিতা বা আক্রান্তরা নিজেরাই এই পদ্ধতিতে উগড়ে দিতে পারেন অপমান আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিজেদের রাগ। কেরলের কোল্লামে যেমনটা ঘটল। ভণ্ড সাধুবাবা ধর্ষণের চেষ্টা করতেই তাঁর যৌনাঙ্ক কেটে নিলেন এক তরুণী।
এমন ঘটনা কিন্তু প্রথম নয়। এর আগেও এ দেশে, অন্য দেশে এমন ঘটনা ঘটেছে। নিজেদের হাতেই ধর্ষককে বা ধর্ষণের চেষ্টা করা পুরুষকে শাস্তি দিয়েছেন আক্রান্ত মেয়েরাই। তেমনই কিছু ঘটনার কথা তুলে ধরা হল।
এ দেশে
মার্চ ২০১২: দিল্লির উপকণ্ঠে আলিপুরে নিজেই যৌন হেনস্থাকারীর লিঙ্গচ্ছেদ করেন এক বিধবা মহিলা।
অগস্ট ২০১৪: বিহারে কাকার হাতে ধর্ষণ আটকাতে যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছিলেন ভাইঝি।
ফেব্রুয়ারি ২০১৬: মধ্য প্রদেশের উমারিয়া জেলায় ধর্ষণের চেষ্টা রুখতে আততায়ীর লিঙ্গচ্ছেদ করেন আক্রান্ত মহিলা।
এপ্রিল ২০১৬: আবার মধ্য প্রদেশ। ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল জামাইবাবু। আত্মরক্ষা করতে জামাইবাবুর লিঙ্গচ্ছেদ করেন শ্যালিকা। পরে থানায় জামাইবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তিনি।
এপ্রিল ২০১৬: অসমের এক আদিবাসী মহিলা ধর্ষণ রুখতে আততায়ীকে খুন করে লিঙ্গচ্ছেদ করেন। পরে বন্ধুদের সাহায্যে শেষকৃত্যও করেন তার।
আরও পড়ুন:
কেন স্বামীজির লিঙ্গচ্ছেদের পরও আইন তরুণীর পাশেই?
ধর্ষণের চেষ্টা করতেই ভণ্ড ‘বাবা’র যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন তরুণী!
বিদেশে
মার্চ ২০১৪: ধর্ষণ করেছিল প্রাক্তন প্রেমিক। লিঙ্গচ্ছেদ করে বদলা নেন তরুণী। ঘটনাস্থল হংকং।
মার্চ ২০১৪: তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার করেছে সন্দেহে ব্রাজিলে গণপিটুনির পর লিঙ্গচ্ছেদ করা হয় দুষ্কৃতীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy