Advertisement
E-Paper

আঞ্চলিক দলে নজর সনিয়ার

বিজু জনতা দল না কংগ্রেস না বিজেপির শরিক। কিন্তু সংসদে আপদে বিপদে বিজেপিরই ‘বন্ধু’ দল বলে পরিচিত। সেই দলের সাংসদের কাছে সনিয়ার এমন আকস্মিক পৌঁছে যাওয়া নজর এড়ায়নি বাকিদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৮ ০৪:৫৪
সনিয়া গাঁধী। ফাইল চিত্র।

সনিয়া গাঁধী। ফাইল চিত্র।

লোকসভায় তখন সরকার বনাম বিরোধী তুমুল হট্টগোলে কান পাতা দায়। তার মধ্যেই হঠাৎ নিজের আসন ছেড়ে উঠে পড়লেন সনিয়া গাঁধী। সচরাচর যেটি তিনি করেন না। সোজা গিয়ে দাঁড়ালেন বিজু জনতা দলের নেতা ভরত্রুহরি মহতাবের সামনে। তাঁর সঙ্গে কথাও বললেন বেশ কিছুক্ষণ।

বিজু জনতা দল না কংগ্রেস না বিজেপির শরিক। কিন্তু সংসদে আপদে বিপদে বিজেপিরই ‘বন্ধু’ দল বলে পরিচিত। সেই দলের সাংসদের কাছে সনিয়ার এমন আকস্মিক পৌঁছে যাওয়া নজর এড়ায়নি বাকিদের।

ত্রিপুরায় বামদুর্গ বিজেপি দখল করার পর থেকেই একটি অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি জোট গড়ার সলতে পাকানো শুরু হয়েছে। এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন টিআরএস নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও, ডিএমকে-র এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে। আবার উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অখিলেশের দিকে। সেখানে দু’টি আসনের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও কার্যত জোটই গড়ছেন পিসি-ভাইপো। অনেকেই বলছেন, এই জোট যতটা না বিজেপি-বিরোধী, তার থেকে বেশি কংগ্রেস-বিরোধী। এটা বুঝেই দ্রুত সক্রিয় হয়েছেন সনিয়া।

কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, সনিয়া ফের আঞ্চলিক দলগুলিকে কাছে টানার কাজ শুরু করেছেন। ১৩ মার্চ সনিয়ার ডাকা নৈশভোজে ইউপিএ-র শরিক দলগুলির পাশাপাশি টিডিপি-বিজেডি-র মতো বিজেপি শরিকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে সূত্রের খবর। রাহুল গাঁধীর বিদেশ সফর নিয়ে দু’দিন আগেই তির্যক মন্তব্য করা ফারুক আবদুল্লার সঙ্গে আজ লোকসভায় দীর্ঘক্ষণ কথাও বলেন সনিয়া। সক্রিয় হয়েছেন রাহুলও। অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার যে দাবি নিয়ে বিজেপির শরিক টিডিপি সরব, তাকে আজ সমর্থন করেছেন রাহুল। আজ অন্ধ্রের কংগ্রেস নেতৃত্বের আয়োজনে একই দাবিতে যন্তরমন্তরে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম কাজই হবে অন্ধ্রকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া। সকলকে একজোট হতে হবে।’’

কংগ্রেস নেতৃত্ব বলছেন, লোকসভার আগে সব দলের লক্ষ্য নিজেদের শক্তি বাড়ানো। উপযুক্ত সময় এলে সব বিরোধী দলই বিজেপি বিরোধিতায় একজোট হবে। সভাপতির দায়িত্ব রাহুলের হাতে তুলে দেওয়ার সময়ই সনিয়া জানিয়েছিলেন, শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগের কাজটি তিনি করবেন। আর রাহুল সামলাবেন দল। সে কারণে উত্তরপ্রদেশের দুই লোকসভা উপনির্বাচনে মায়াবতী-অখিলেশ এক হলেও কংগ্রেস নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করেনি। কিন্তু তা হলে উত্তরপ্রদেশে রাজ্যসভার দশম আসনটির কী হবে? সেটিতে সপা-বসপার সঙ্গে কংগ্রেস হাত না মেলালে তো বিজেপি ছিনিয়ে নেবে আসনটি। সপা-র নরেশ অগ্রবাল বলেন, ‘‘সমর্থন করতেই হবে কংগ্রেসকে। তারা কি বিজেপিকে ভোট দেবে?’’

Sania Gandhi Congress Regional Parties Parliament
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy