Advertisement
E-Paper

নিরক্ষর ‘ধর্ষিতা’ কি আদৌ জানেন মিটমাটের কথা? বন্ধ মামলা হাই কোর্টকে পুনরায় শুনতে বলল সুপ্রিম কোর্ট

একটি ধর্ষণের মামলায় দু’পক্ষের ‘সম্মতিতে মিটমাট’ করে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছিল গুজরাত হাই কোর্ট। ওই মামলায় পুনরায় নির্যাতিতার বক্তব্য শোনার জন্য হাই কোর্টকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:১৪
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

গুজরাত হাই কোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়া একটি ধর্ষণের মামলা পুনরায় শোনার জন্য নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলায় জড়িত দু’পক্ষের ‘সম্মতিতে মিটমাট’ হয়ে যাওয়ার কারণে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছিল হাই কোর্ট। কিন্তু সেই মিটমাটের ‘ডিড’ (দলিল বা চুক্তি)-এ কী উল্লেখ রয়েছে, সে বিষয়ে কি আদৌ জানেন নির্যাতিতা? বুধবার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্‌র বেঞ্চ। দুই বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নির্যাতিতা এই মিটমাটের দলিলের বিষয়ে অবগত, এমন কোনও প্রামাণ্য নথি নেই। সেই কারণে মামলাটি হাই কোর্টকে আবার শোনার জন্য বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে নিয়ে ‘সম্মতিক্রমে নিষ্পত্তি’ করা হয়। এই সব মামলায় সাধারণত আদালত এক জনকে নিয়োগ করে। তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করান। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তিনি এক জন আইনজীবীই হন। বুধবার গুজরাতের ওই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ওকার প্রশ্ন, “এটা কী হচ্ছে? নির্যাতিতার সঙ্গে কথা না বলেই হাই কোর্ট কী ভাবে এই মিটমাটে অনুমতি দিতে পারে?” বিচারপতি আরও জানান, দলিলের বিষয়ে যে মহিলাকে জানানো হয়েছিল, সে কথা কোথাও উল্লেখ নেই। ওই মহিলা নিরক্ষর। দলিলে কী লেখা রয়েছে, তা কেউ তাঁর কাছে ব্যাখ্যা করেননি।

ওই দলিলে নির্যাতিতার বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের ছাপ রয়েছে। কিন্তু সেখানে কী লেখা, তার বিন্দুবিসর্গও জানেন না মহিলা। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, দলিলের প্রতিটি বিষয়ে মহিলার কাছে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। এটি নিশ্চিত না করেই হাই কোর্টের রায় গ্রহণযোগ্য নয় বলেই মনে করছে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। আদালত আরও জানিয়েছে, এ সব ক্ষেত্রে নির্যাতিতার কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার কথা জানিয়ে তৃতীয় কোনও পক্ষের থেকে হলফনামা জমা নেওয়া হয়। নির্দেশনামায় শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, হাই কোর্টের উচিত ছিল নির্যাতিতাকে সশরীরে আদালতে ডেকে বিষয়টি জানতে চাওয়া। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, দু’পক্ষের ‘সম্মতিতে মিটমাট’ হয়েছে কি না সেটি আবার যাচাই করতে হবে গুজরাত হাই কোর্টকে। তার পর হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে মামলাটি আদৌ খারিজ করার যোগ্য কি না।

Supreme Court Gujarat High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy