বেআইনি ভাবে কাউকে ধর্মান্তরিত করা অপরাধ। তবে তা খুন, ডাকাতি বা ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ নয়। ধর্মান্তরণ সংক্রান্ত এক মামলায় এ কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
উত্তরপ্রদেশের বেআইনি ধর্মান্তরণের একটি অভিযোগের শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরকে ধর্মান্তরণে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছে শীর্ষ আদালত। এর আগে উত্তরপ্রদেশের নিম্ন আদালত মামলাটি চলছিল। সেখানে জামিন পাননি তিনি। পরে অভিযুক্ত জামিন চেয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। শেষে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে।
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, কী কারণে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, হাই কোর্টে জামিনের আবেদন নাকচ করার জন্য তেমন কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল না। এটি খুন, ডাকাতি বা ধর্ষণের মতো গুরুতর কোনও অপরাধ নয়। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, হাই কোর্টের উচিত ছিল জামিনের প্রসঙ্গে নিজস্ব বিচক্ষণতা দিয়ে বিবেচনা করা।
আরও পড়ুন:
নিম্ন আদালতের প্রসঙ্গও উঠে আসে শীর্ষ আদালতের শুনানিতে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, “আমরা বুঝতে পারছি, কেন ট্রায়াল কোর্ট জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। তারা খুব কমই জামিন দেওয়ার সাহস দেখায়, তা সে অপরাধই হোক না কেন। কিন্তু অন্তত হাইকোর্টের কাছে সাহস দেখানো এবং বিচক্ষণতা প্রয়োগ করা প্রত্যাশিত ছিল।” দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, প্রতি বছর অনেক সম্মেলন, সেমিনার, কর্মশালা আয়োজিত হচ্ছে। এগুলির উদ্দেশ্য হল, যাতে বিচারকেরা জামিনের আবেদন বিবেচনা করার সময় নিজেদের বিচক্ষণতা প্রয়োগ করতে পারেন। বিচারকেরা যাতে সিআরপিসির ৪৩৯ ধারা বা ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ৪৮৩ ধারার বিষয়ে অবগত থাকেন, তা বোঝানো হচ্ছে। এই ধরনের মামলাগুলির ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলেও মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট।