Advertisement
E-Paper

কেন্দ্রকে নোটিস দুর্নীতি দমন আইন নিয়ে

যে কোনও সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করতে হলে আগাম অনুমতি নিতে হবে বলে দুর্নীতি দমন আইনে শর্ত জুড়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল তারা। এ বার তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে কেন্দ্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৪
— ফাইল চিত্র।

— ফাইল চিত্র।

যে কোনও সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করতে হলে আগাম অনুমতি নিতে হবে বলে দুর্নীতি দমন আইনে শর্ত জুড়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল তারা। এ বার তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে কেন্দ্র।

দুর্নীতি দমন আইনে নতুন ১৭ এ ধারা যোগ করা নিয়ে আজ কেন্দ্রের জবাব চেয়ে নোটিস জারি করে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন’ জনস্বার্থ মামলা করে দুর্নীতি দমন আইনে সংশোধনকে চ্যালেঞ্জ জানায়। তাদের যুক্তি, আইনের এই সংশোধন বেআইনি ও অসাংবিধানিক। এর আগে দু’বার একই ধরনের আইন সংশোধনের চেষ্টা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তা অবৈধ বলে খারিজ করে দিয়েছে। এই নিয়ে তৃতীয় বার দুর্নীতি দমন আইনকে লঘু করার চেষ্টা হচ্ছে।

মামলাকারীর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ‘‘এই সংশোধনের ফলে সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় তদন্ত শুরু করার আগে নিয়োগকর্তার আগাম অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছে।’’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমাদের মনে হচ্ছে আপনাদের কথা শোনা দরকার। সে কারণেই নোটিস জারি করা হচ্ছে।’’

গত বাদল অধিবেশনে দুর্নীতি দমন আইনে এই সংশোধনের সময়েই সিবিআই অফিসারেরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, এক দিকে অনুমতি জোগাড় করতে অনেক সময় লেগে যাবে। অন্য দিকে, কার বিরুদ্ধে কী তদন্ত হচ্ছে তা নিয়ে গোপনীয়তাও বজায় রাখা যাবে না। সিবিআই এ বিষয়ে সংসদীয় সিলেক্ট কমিটির কাছেও আপত্তি জানিয়েছিল। এর আগে আইনের সংশোধন করে যুগ্মসচিব ও তার উপরের স্তরের অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্তে অনুমতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ২০১৫ সালে তা অসাংবিধানিক বলে খারিজ করে। নয়া সংশোধনীতে সব সরকারি অফিসারের ক্ষেত্রেই অনুমতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, দুর্নীতিমুক্ত সরকারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদী সরকার সরকারি অফিসারদের দুর্নীতি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকার তথা আমলাদের যুক্তি ছিল, এর ফলে অফিসারেরা নিশ্চিন্ত মনে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

Anti Corruption Act Central Govt Supreme Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy