টুইটারে তাঁর কাছে সমস্যার কথা জানালেই সাহায্যের হাত বাড়ান তিনি। ভিসা- জট কাটানোই হোক বা চিকিৎসার জন্য ভিন্দেশে যাওয়ার রাস্তা সহজ করা— সমস্যা নিয়ে তাঁর দ্বারস্থ হলে সমাধান মেলে প্রায় সব ক্ষেত্রেই। কিন্তু এ বার পুণের এক যুবকের অনুরোধ শুনে রেগে উঠলেন সেই সুষমা স্বরাজই।
কী সেই অনুরোধ? পুণের এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী টুইটারে বিদেশমন্ত্রীর কাছে তাঁর স্ত্রীর বদলির জন্য আবেদন করে বসেন রবিবার। ওই যুবক লেখেন, তিনি কর্মসূত্রে পুণেতে থাকলেও ঝাঁসিতে রেলে কাজ করেন তাঁর স্ত্রী। এই ‘বনবাস’ আর সহ্য হচ্ছে না। এখন সুষমাই পারেন তাঁদের সাহায্য করতে। টুইটটি পেয়ে খানিক রেগেই যান বিদেশমন্ত্রী। লেখেন, ‘‘আপনি বা আপনার স্ত্রী যদি আমার দফতরে কাজ করতেন তা হলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে এ ভাবে বদলির অনুরোধ জানানোয় আপনাদের সাসপেন্ড করতাম।’’
ঠিক একই ভাবে স্ত্রীর জন্য দ্রুত পাসপার্টের আর্জি জানিয়ে রবিবারই সুষমাকে টুইট করেন আর এক মার্কিন যুবক। লেখেন, ‘‘পাসপোর্ট না পাওয়ায় আমি স্ত্রীকে ছেড়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছি।’’ সুষমাও রসিকতা করে উত্তর দেন, ‘‘সত্যিই এই বনবাস তাড়াতাড়ি শেষ হওয়া দরকার!’’ বিদেশমন্ত্রীর এই জবাব দেখেই সম্ভবত নিজের ‘বনবাসে’ ইতি টানতে সুষমাকে টুইট করেন পুণের ওই যুবক। একেবারে আশাহত না করে সুষমা ওই যুবকের টুইটটি রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুকে ফরওয়ার্ড করেন। প্রভুও জানান, বদলির ব্যাপারে তিনি কোনও সাহায্য করতে পারবেন না।