—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
চলতি বছর ডাক্তারির প্রবেশিকা নিটের ফল ঘোষণার পর দেখা গিয়েছিল, হরিয়ানার একটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ছ’জন মোট নম্বর ৭২০-তে ৭২০ পেয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার রাতে পরীক্ষা কেন্দ্র এবং শহর ধরে ধরে ফল প্রকাশ করে পরীক্ষা আয়োজক সংস্থা এনটিএ (ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি)। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের কোনও পরীক্ষার্থী ৬৮২ নম্বরের বেশি পাননি। তার পরেই তৈরি হয়েছে জল্পনা।
নিটের শনিবারের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, হরিয়ানার হরদয়াল পাবলিক স্কুল থেকে মোট ৪৯৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র এক জন ৬৮২ পেয়েছেন। ৬০০ নম্বরের গণ্ডি টপকেছেন মাত্র ১৩ জন পড়ুয়া।
গত ৪ জুন নিটের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গিয়েছিল, হরিয়ানার এই পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ছ’জন পুরো নম্বর পেয়েছেন। এক জন ৭১৯ এবং এক জন ৭১৮ পেয়েছেন। তার পরেই তৈরি হয় বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। সু্প্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। কিছু পরীক্ষার্থীকে যে বাড়তি নম্বর (গ্রেস মার্ক) দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর আবার পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৮০০ জন আবার পরীক্ষা দেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এনটিএ পরীক্ষা কেন্দ্র এবং শহর ধরে ধরে ফল প্রকাশ করে শনিবার। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর নির্দেশে বলেন, যে হেতু সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নফাঁসের সমস্যা হয়নি, তাই নিটের ফল প্রকাশ করা হবে আলাদা ভাবে প্রতিটি কেন্দ্র ধরে ধরে। শুধু তা-ই নয়, যে হেতু নিট মামলার তদন্ত এখনও চলছে, তাই পরীক্ষার্থীদের নাম বা রোল নম্বর কোনওটিই প্রকাশ করা হবে না। অর্থাৎ পরীক্ষার্থীর পরিচয় গোপন রেখে ফল প্রকাশ করা হবে নিটের। যাতে যে সব পরীক্ষা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সেগুলির পরীক্ষার্থী এবং অন্য কেন্দ্রগুলির পরীক্ষার্থীদের নম্বরের মধ্যে বৈষম্য ধরা পড়ে।
৫ মে নিট হয়েছিল। ৫৭১টি শহরের ৪,৭৫০টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিদেশেও ১৪টি জায়গায় পরীক্ষা হয়। ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী বসেছিলেন পরীক্ষায়। এই পরীক্ষা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টে পরীক্ষা বাতিল, আবার পরীক্ষা, কোর্টের নির্দেশে তদন্তের আবেদন জানিয়ে মামলা হয়েছিল। ২২ জুলাই আবার শুনানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy