— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কোথাও মহিলা ক্ষমতায়ন, কোথাও অ্যাসিড হামলায় ভুক্তভোগী নারীদের কথা। আবার কোথাও বা পরিবার পরিত্যক্ত মায়ের করুণ জীবনআলেখ্য।
দেড় হাজার কিলোমিটার দূরের আর জি কর কাণ্ড এ বার এ ভাবেই ছুঁয়ে থাকছে রাজধানীর পুজোকে। তাই দিল্লির চিরাচরিত পুজোগুলির পাশাপাশি বেশ কিছু মণ্ডপের থিমে উঠে এসেছে নারী নির্যাতনের থিম।
যেমন উনিশ বছরে পা দেওয়া বৈশালির সেক্টর তিন-এর রচনা পার্ক-এর সর্বজনীন শ্রী শ্রী কালীপুজো সমিতির পুজো। পুজোর সচিব সূর্যসারথি রায়ের কথায়, “এ বার আমরা আর জি করের আবহেই পুজোর থিম তৈরি করেছি। এবং এই থিম শুধু মণ্ডপসজ্জায় নয়। অ্যাসিড আক্রান্তদের জন্য যে সংস্থা কাজ করে, আমাদের চাঁদার থেকে একটি অংশ তাদের হাতে তুলে দেব।” এই পুজোর প্যান্ডেল হচ্ছে চট, খড়, বাঁশের মতো পরিবেশবান্ধব উপকরণে।
আরামবাগ পুজো সমিতির ৩৬তম পুজোর সংবেদনশীল থিম, পরিবার থেকে পরিত্যক্ত বৃদ্ধাদের কঠোর বাস্তবতা। বৃন্দাবন এবং বারাণসীতে আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলি কোনও ভাবে জীবন কাটিয়ে এখনও সন্তানদের মঙ্গলকামনা করে চলেছেন। কলকাতার শিল্পী অরুণ মণ্ডল মণ্ডপে এই পরিত্যক্তা মায়েদের ছবি এঁকেছেন। বারাণসী থেকে আনা হবে কুড়ি জন বৃদ্ধাকে। পুজোর মধ্যেই তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে কমিটির পক্ষ থেকে কিছু সহায়তা।
এ বার ৫৯তম বছরে পড়ল পটেল নগর পুজো সমিতির দুর্গোৎসব। কমিটির অধ্যক্ষা শেলী ভৌমিকের কথায়, “আমরা ঐতিহ্য মেনে ডাকের সাজের প্রতিমা করেছি। অনুষ্ঠান হবে প্রতি দিনই স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে যাতে তাঁরা উৎসাহ পান। সবাইকে বসিয়ে ভোগ খাওয়ানো হবে। মা দুর্গার কাছে এ বারে আমাদের প্রার্থনা, আমাদের শান্তি দাও, মেয়েরা যাতে খুশিতে থাকতে পারে। দুষ্টের দমন করো।” আরও একটি প্রাচীন পুজা নয়ডা কালীবাড়িতে প্রতি দিনই থাকবে ভোগ ও আরতির আয়োজন। নয়াদিল্লিতে ৯৬ বছরের উপস্থিতি রামকৃষ্ণ মিশনের। প্রত্যেক বারের মতো এ বারেও মিশনে ধুমধাম করে হবে দুর্গোৎসব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy