প্রসঙ্গত, নেটমাধ্যমে বরাত নিয়ে রেস্তোরাঁ থেকে ঘরে খাবার সরবরাহকারী একটি সংস্থা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা বরাত দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে আপনার হাতে গরম গরম খাবার পৌঁছে দেবে। অনেকটা একই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে মুদিখানার দ্রব্য সরবরাহকারী একটি অনলাইন সংস্থাও। কিন্তু মহুয়ার প্রশ্ন, এর ফলে যে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন, তাঁকে ট্রাফিক আইন ভাঙায় উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে এবং প্রতিশ্রুতি পূরণের তাগিদে তিনি নিজের এবং অন্যদের জীবন বিপন্ন করে দ্রুত পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। কোনও সভ্য সমাজ এতে উৎসাহ দেয়! প্রশ্ন বিস্মিত মহুয়ার। তাঁর দাবি, ১০ মিনিটের ডেলিভারির প্রতিশ্রুতিকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত কিংবা বাতিল করে দেওয়া দরকার।
যদিও সমালোচনা শুরু হওয়ার পর নেটমাধ্যমে বরাত নিয়ে রেস্তোরাঁ থেকে ঘরে খাবার সরবরাহকারী একটি সংস্থার তরফে জানানো হয়, এই সুবিধা কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় এবং নির্দিষ্ট কয়েকটি সহজলভ্য খাবারের উপরেই প্রযোজ্য। এবং খাবার পৌঁছতে ১০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও সরবরাহকারীর কোনও রকম জরিমানা বা শাস্তি হবে না। তেমনই ১০ মিনিটে খাবার পৌঁছলেও পাবেন না কোনও উৎসাহভাতা।
সংস্থা যে যুক্তিই দিক না কেন, লাভের আশায় সরবরাহকারীকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন অনেকেই। এ বার তাতে সুর মেলালেন সাংসদ মহুয়াও। সংসদে তোলার পর কি এই আপাত বিপজ্জনক প্রবণতায় রাশ পড়বে? প্রশ্ন এখন সেটাই।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।