তাঁদের দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়! এক জনের তো কোনও সাড়া-শব্দই মিলছে না। বাকি দু’জনের গলার হাল্কা স্বর মাঝে-মধ্যে ধরা পড়েছে সিসিটিভি-র ভিডিও ক্যামেরায়। আপাতত উদ্ধার হয়েছেন দু’জন।
গত এক সপ্তাহ ধরেই ইঞ্চি-ইঞ্চি করে খোঁড়া হচ্ছে ওই সুড়ঙ্গ। কিন্তু, এক নাগাড়ে হয়ে চলা ভারী বৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুৎ, অসম্ভব ধসের জন্য খোঁড়ার কাজ ততটা এগোয়নি। মাঝে-মধ্যে বিগড়ে যাচ্ছে ‘ড্রিলিং মেশিন’-ও। জয়পুর থেকে আনানো মেশিনটি গতকাল, সারা দিন চালানো যায়নি। তাই বহু চেষ্টা করেও খোঁড়ার কাজের গতি বাড়ানো যাচ্ছে না। উদ্ধার-কাজ তো দূর অস্তই!
১২ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। পাহাড়ি সড়ক বানানোর জন্য প্রায় ১২০০ মিটার লম্বা ওই সুড়ঙ্গে নেমে কাজ করছিলেন অন্তত শ’খানেক শ্রমিক। তখনই নেমে আসে পাহাড়ি ধস। ‘বোল্ডার’ ভেঙে পড়ে সুড়ঙ্গের মুখটা প্রায় বন্ধই করে দেয়। তার পর অনেক কষ্টে সুড়ঙ্গের বাইরে বেরিয়ে আসেন বেশির ভাগ শ্রমিক। ওই তিন জনই শুধু বেরতে পারেননি।
গত সপ্তাহেই পাইপে করে সুড়ঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল সিসিটিভি-র ভিডিও ক্যামেরা। তখনই জানা যায়, আটকা পড়ে রয়েছেন তিন জন। তার মধ্যে দু’জনের সঙ্গে উপর থেকে যোগাযোগ রাকা হচ্ছে। তবে অন্য এক জনের কোনও সাড়া-শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। বাকি দু’জনও ওই তৃতীয় জন হৃদয় রামের খবর জানেন না।
সুড়ঙ্গের নীচে আটকে পড়া শ্রমিক সতীশ কুমারকে সিসিটিভি-র ভিডিও ক্যামেরার সামনে কাল বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমরা বড়জোর আর সাত দিন চালিয়ে যেতে পারব...দয়া করে এর মধ্যে আমাদের উদ্ধার করুন।’
আপাতত সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য খাওয়ার জল, বাদাম ও গ্লুকোজ বিস্কুট পাইপে করে নীচে নামানো হয়েছে।
‘ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সে’র এক পদস্থ কর্তা জয়দীপ সিং বলেছেন, ‘আর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আমরা সুড়ঙ্গে ঢুকতে পারব বলে মনে করছি।’