ছবি: এএফপি।
অরুণাচলের সিয়াং এলাকার পাহাড়ে ধাক্কা লেগে ভেঙে পড়া এএন-৩২ বিমানের ১৩ জন আরোহীর দেহ উদ্ধার করতে এভারেস্টজয়ী দুই পর্বতারোহীকে কাজে লাগানো হচ্ছে। ইংকিয়ংয়ের বাসিন্দা কিসন টেকসেং ও জোমলো মংকুর বাসিন্দা টাকা টামুট গত বছরের ২৪ মে এভারেস্টে ওঠেন। সিয়াংয়ের স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় ওই এলাকার পাহাড়ের প্রকৃতি তাঁরা ভাল চেনেন। সেই জন্য বায়ুসেনার গরুড় কমান্ডো, স্থলসেনার পর্বতারোহীদের পাশাপাশি টেকসেং ও টামুটকেও গত কাল দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি এলাকায় কপ্টার থেকে নামানো হয়। সেখান থেকে ঘণ্টা তিনেক হেঁটে ও পাহাড় চড়ে তাঁরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
বৃষ্টি ও খাড়া পাহাড়-জঙ্গলে উদ্ধার অভিযান চালাতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে দেহগুলি বার করে হেলিকপ্টার নামতে পারা জায়গা পর্যন্ত আনার চেষ্টা করছেন।
আরও তিন জন স্থানীয় পর্বতারোহীকেও দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে এ দিন জানান বায়ুসেনার ইস্টার্ন কম্যান্ডের মুখপাত্র রত্নাকর সিংহ। আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার ও ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে ইতিমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, সাত জনের দেহ পাথর ও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কয়েকটি দেহ খাদে পড়েছে। কয়েকটি দেহ পাথর ও মাটির মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল। খাড়া পাহাড়ে দড়ি বেয়ে নেমে দেহগুলি বার করে আনতে সমস্যা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy