একদা সিপিএম-সহ বাম দলগুলি সমর্থন তুলে নেওয়ায় সঙ্কটে পড়েছিল ইউপিএ সরকার। বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকে সামনে রেখে তখন বিকল্পের খোঁজ করেছিলেন সিপিএম নেতারা। আজ দিল্লি বিধানসভা ভোটের ফল জানাচ্ছে, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়েছে নির্বাচন কমিশনের খাতায় জাতীয় দলের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দু’টি দল। একটির নাম সিপিএম। অপরটি বিএসপি।
দিল্লি বিধানসভা ভোটে মোট ছ’টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বামপন্থী দলগুলি। তার মধ্যে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছিল দুই কেন্দ্রে। কারওয়াল নগরে অশোক আগরওয়াল। বদরপুরে জগদীশচন্দ্র শর্মা। দিল্লির ভোটের ফল জানাচ্ছে, ‘কাউকেই পছন্দ নয়’ (নোটা) ভোট পড়েছে ০.৫৭ শতাংশ। অন্য দিকে সিপিএম ও বিএসপি-র ঝুলিতে পড়েছে যথাক্রমে ০.০১ শতাংশ ও ০.৫৫ শতাংশ ভোট। আর এক বামপন্থী দল সিপিআইয়ের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ ০.০১। নীতীশ কুমারের জেডিইউ পেয়েছে ০.৫৩ শতাংশ ভোট।
রাজনীতিকদের মতে, রাজধানীতে বরাবরই এক বৈপরীত্যে ভোগেন বামপন্থীরা। এক দিকে রাজধানীর বুকেই জেএনইউ-র প্রাক্তনীরা রয়েছেন বামপন্থী দল, বিশেষত সিপিএমের শীর্ষে। আবার মোদী জমানায় জেএনইউ-এ সরকার-বিরোধী লড়াইয়ের অন্যতম মুখ কানহাইয়া কুমার তখন ছিলেন সিপিআইয়ের ছাত্র সংগঠনের নেতা। কিন্তু নির্বাচনী লড়াইয়ে কোনও দিনই রাজধানীতে বিশেষ সুবিধে করতে পারেনি তারা। নানা আন্দোলনে এখনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে দেখা যায় বামপন্থীদের। কিন্তু রাজধানীতে ভোটের লড়াইয়ে তাদের এই করুণ হাল নিয়ে দলগুলির অভ্যন্তরে বড় ধরনের চর্চা প্রয়োজন বলে মত রাজনীতিকদের।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)