Advertisement
২৭ মার্চ ২০২৩
Modi Documentary

‘ভারতের বদনাম করার চক্রান্ত’! বিবিসির তথ্যচিত্র বিতর্কে মোদীর পাশে দাঁড়াল পুতিনের দেশ

রুশ বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার মন্তব্য, ‘‘স্বাধীন বিদেশনীতি রয়েছে, এমন দেশগুলির বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই প্রচারযুদ্ধ চালাচ্ছে বিবিসি।’’

মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের সমালোচনায় পুতিন সরকার।

মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের সমালোচনায় পুতিন সরকার। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩২
Share: Save:

বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে বিতর্কে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়াল মস্কো। ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের তরফে মঙ্গলবার অভিযোগ তোলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দু’দশক আগেকার গোধরা হিংসা নিয়ে ওই তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হয়েছে।

Advertisement

গত এক বছরে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার ধারাবাহিক চাপ সত্ত্বেও রাষ্ট্রপুঞ্জে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি ভারত। সেই প্রসঙ্গে ইঙ্গিত করে রুশ বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার মন্তব্য, ‘‘স্বাধীন বিদেশনীতি রয়েছে, এমন দেশগুলির বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই প্রচারযুদ্ধ চালাচ্ছে বিবিসি। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্রটি সেই প্রচারযুদ্ধেরই একটি উদাহরণ।”

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে গোধরাকাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি। যদিও বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার কেন্দ্রের তরফে ইউটিউব এবং টুইটারকে বিবিসি-র তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সমাজমাধ্যম থেকে তুলে নিতে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। বিরোধী নেতারা একে ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.