লোকসভায় আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করছেন নির্মলা সীতারামন। ছবি: পিটিআই।
বুধবার সংসদে পেশ করা হবে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাব। তার আগে,মঙ্গলবার লোকসভায় আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই সমীক্ষা রিপোর্টের পূর্বাভাস, আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবর্ষে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ থেকে ৬.৮ শতাংশ হতে পারে। মোটামুটি ভাবে গড় বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৫ শতাংশ।
অর্থাৎ, গত তিনটি অর্থবর্ষের মধ্যে বৃদ্ধির হার সর্বনিম্নে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, করোনা অতিমারির পাশাপাশি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশে পৌঁছনোর প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। প্রসঙ্গত, বর্তমান অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে (২০২১-২২) বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭ শতাংশ।
আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত তিন বছরের মধ্যে বৃদ্ধির হার কিছুটা কমলেও ক্রয়ক্ষমতার নিরিখে ভারত এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। বিনিময় হারের দিক থেকে পঞ্চম। মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়লেও বিদেশি বিনিয়োগ আসার পথে তা বাধা হবে না বলে সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়েছে। তবে মূল্যবৃদ্ধির অভিঘাত দীর্ঘায়িত হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে সমীক্ষা রিপোর্টে।
প্রসঙ্গত, আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্টের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্র এক বছরে অর্থনীতি কেমন চলেছে, তার গাণিতিক পরিসংখ্যানগত চিত্র তুলে ধরে। করোনার ধাক্কায় চার দশক পরে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার শূন্যের নীচে নেমে গিয়েছিল। বস্তুত তার আগের অর্থবর্ষ (২০১৯-’২০) থেকেই দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অধোগতি শুরু হয়। এর পর করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে ধাক্কা খায় আমদানি-রফতানি, কলকারখানায় উৎপাদন। মুখ থুবড়ে পড়ে হোটেল, পর্যটন, বিমান, রেস্তরাঁ পরিষেবার মতো ব্যবসা। ভারতে পরিষেবা এবং উৎপাদন ক্ষেত্রেও সেই নেতিবাচক প্রভাব যে এখনও কাটানো যায়নি, সমীক্ষা রিপোর্টে তা স্পষ্ট হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy