Advertisement
১৬ মে ২০২৪
National News

আমরা ওর দেহ নেব না, বললেন লখনউয়ে মৃত জঙ্গি সইফুল্লার বাবা

সইফুল্লার দেহ নিতে অস্বীকার করল তার পরিবার। লখনউয়ে ১২ ঘণ্টার এনকাউন্টারে মৃত জঙ্গি সইফুল্লাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিলেন সাইফুল্লার বাবা সরতাজ। বললেন, ‘‘যে দেশদ্রোহী কার্যকলাপে জড়িত থাকে, সে আমাদের ছেলে হতে পারে না।’’

লখনউ এনকাউন্টারে মৃত সইফুল্লা। ছবি: পিটিআই।

লখনউ এনকাউন্টারে মৃত সইফুল্লা। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৭ ২১:২৬
Share: Save:

সইফুল্লার দেহ নিতে অস্বীকার করল তার পরিবার। লখনউয়ে ১২ ঘণ্টার এনকাউন্টারে মৃত জঙ্গি সইফুল্লাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিলেন সাইফুল্লার বাবা সরতাজ। বললেন, ‘‘যে দেশদ্রোহী কার্যকলাপে জড়িত থাকে, সে আমাদের ছেলে হতে পারে না।’’ পরিবার শেষকৃত্য করতে রাজি না হওয়ায় আপাতত লখনউয়েরই একটি সরকারি হাসপাতালে রাখা রয়েছে মৃত জঙ্গির দেহ।

কানপুরের বাসিন্দা ছিল সরতাজ। ভারতে তৈরি হওয়া যে আইএস সেলের সঙ্গে সে যুক্ত হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেই সেলই কয়েক মাস আগে লখনউয়ের ঠাকুরগঞ্জের ওই বাড়িটি ভাড়া নেয় বলে এনআইএ সূত্রের খবর। মঙ্গলবার ঠাকুরগঞ্জের বাড়িটি ঘিরে ধরে সইফুল্লাকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল পুলিশ। কিন্তু সে রাজি হয়নি। বাড়িটির ভিতরে চিলি গ্রেনেড ছুড়ে জঙ্গিকে বার করে আনার চেষ্টা হয়েছিল। তাতেও কাজ না হওয়ায় সইফুল্লার এক ভাইকে কাজে লাগানো হয়। ফোন করে তিনিও সইফুল্লাকে আত্মসমর্পণের অনুরোধ করেন। কিন্তু ভাইকে সইফুল্লা জানিয়ে দেয়, সে ‘শহিদ’ হতে চায়।

সইফুল্লার বাবা সরতাজ। ছবি: পিটিআই।

বুধবার মুখ খুলেছে মৃত জঙ্গির পরিবার। সইফুল্লার বাবা বলেছেন, ‘‘একটা বিশ্বাসঘাতক আমাদের ছেলে হতে পারে না। আমরা ভারতীয়, আমরা এ দেশে জন্মেছি, আমাদের পূর্বপুরুষরা এ দেশে জন্মেছিলেন। যে দেশদ্রোহী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত, সে আমাদের ছেলে হতে পারে না।... আমরা ওর দেহ নেব না।’’

ছেলে যে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে, তা তিনি ঘুণাক্ষরেও জানতেন না। দাবি সরতাজের। ৯ জনের যে সেলটি আইএস ভারতে খুলেছিল, সইফুল্লা তার সদস্য ছিল বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি। মঙ্গলবার সকালে মধ্যপ্রদেশে প্যাসেঞ্জার ট্রেনে বিস্ফোরণের সঙ্গেও সইফুল্লা জড়িত বলে জানা গিয়েছে।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অবশ্য সইফুল্লার সঙ্গে আইএস-এর যোগের খবর বুধবার অস্বীকার করেছে। এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) দলজিৎ চৌধুরি বলেছেন, ‘‘আইএসআইএস-এর সঙ্গে যোগাযোগের কোনও প্রমাণ আমরা এখনও পাইনি।’’ ঠাকুরগঞ্জের বাড়িটি থেকে প্রচুর আইএস পত্র-পত্রিকা এবং আইএস-এর পতাকা যে উদ্ধার হয়েছে, তা অবশ্য এডিজি স্বীকার করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Saifulla Terrorism ISIS Lucknow Encounter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE