পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মৃত্যুর হার কমেছে। হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সন্তান প্রসবের হারও বেড়েছে। প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের ভর্তির হার বেড়েছে। কমেছে মাধ্যমিকের পরে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার হার। কাজে যোগ দিতে চাওয়া মানুষের অনুপাত বেড়েছে। কিন্তু কমেছে বেকারত্বের হার। এই সব নিরিখে দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যপূরণে ২০১৯-এর তুলনায় ২০২০-তে পশ্চিমবঙ্গ কিছুটা ভাল ফল করল।
দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ ২০৩০ সালের জন্য যে সব লক্ষ্যমাত্রা বেঁধেছে, তার ভিত্তিতে কোন রাজ্য কী অবস্থানে রয়েছে, আজ তার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নীতি আয়োগ। সার্বিক ভাবে ১৮তম স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম সারিতে এ বারও কেরল, হিমাচল প্রদেশ ও তামিলনাড়ু। শেষের দিকে বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান।
২০২০ সালের পরিসংখ্যান বলছে, দারিদ্র দূরীকরণে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য মাপকাঠিতে বিশেষ তারতম্য না হলেও একশো দিনের কাজে চাহিদা মতো কাজের জোগানের নিরিখে ২০১৯-এর তুলনায় অবনতি হয়েছে। কৃষিতে মাথা পিছু আয় বেড়েছে। হাসপাতালে প্রসব, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মৃত্যুর হার, এইচআইভি সংক্রমণ রোধে রাজ্যে উন্নতি হলেও মায়েদের প্রসবকালীন মৃত্যুর হার সামান্য বেড়েছে। রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ কমেছে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের জন্মহার বেড়েছে। কিন্তু নারী-পুরুষের গড় বেতনে অসাম্য বেড়েছে। গ্রামে পরিস্রুত পানীয় জলে উন্নতি হয়নি।
সার্বিক লক্ষ্যপূরণের মাপকাঠিতে প্রতিটি রাজ্যকে ১০০-র মধ্যে নম্বর দেওয়া হয়েছে। কেরল পেয়েছে ৭৫। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ ৬২। গত বছর রাজ্য ৬০ পেয়েছিল। নীতি আয়োগের উপদেষ্টা সংযুক্তা সমাদ্দার বলেন, ‘‘১৬টি লক্ষ্য পূরণে কোথায় কেমন কাজ হচ্ছে, তা বুঝতে ১১৫টি মাপকাঠি বেছেছি। নীতি আয়োগের লক্ষ্য, দেশে এই লক্ষ্যপূরণের জন্য রাজ্যগুলির মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা ও সমন্বয় গড়ে তোলা।’’