Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৪
Anti Satellite Missile

কী এই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল? দেশের সুরক্ষায় কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?

মহাকাশে অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসাবে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পরে চতুর্থ দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯ ১৪:২৩
Share: Save:
০১ ০৯
মহাকাশে অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসাবে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পরে চতুর্থ দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারত। বুধবার অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল দিয়ে একটি লো-আর্থ অরবিট কৃত্রিম উপগ্রহকে  ধ্বংস করেছে ভারত। কী এই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল? কী ভাবে কাজ করে এটি? দেখে নেওয়া যাক। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

মহাকাশে অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসাবে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পরে চতুর্থ দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারত। বুধবার অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল দিয়ে একটি লো-আর্থ অরবিট কৃত্রিম উপগ্রহকে  ধ্বংস করেছে ভারত। কী এই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল? কী ভাবে কাজ করে এটি? দেখে নেওয়া যাক। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

০২ ০৯
অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল এক ধরনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নিয়ন্ত্রিত (গাইডেড) ক্ষেপণাস্ত্র, যা দিয়ে মহাকাশে অবস্থিত কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করা যায়।

অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল এক ধরনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নিয়ন্ত্রিত (গাইডেড) ক্ষেপণাস্ত্র, যা দিয়ে মহাকাশে অবস্থিত কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করা যায়।

০৩ ০৯
অবিভক্ত সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঠান্ডা যুদ্ধের সময় রাশিয়া এবং আমেরিকা পাল্লা দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াচ্ছিল মহাকাশে। সেই সময় দুই দেশই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল নিয়ে গবেষণা শুরু করে।

অবিভক্ত সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঠান্ডা যুদ্ধের সময় রাশিয়া এবং আমেরিকা পাল্লা দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াচ্ছিল মহাকাশে। সেই সময় দুই দেশই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল নিয়ে গবেষণা শুরু করে।

০৪ ০৯
১৯৫৯ সালে আমেরিকা প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে। তবে সেই ক্ষেপনাস্ত্র আকাশ থেকে ছুড়তে হত। অন্য দিকে ১৯৬৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন সফল ভাবে মাটি থেকে ছোড়া যায় এমন উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করে।

১৯৫৯ সালে আমেরিকা প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে। তবে সেই ক্ষেপনাস্ত্র আকাশ থেকে ছুড়তে হত। অন্য দিকে ১৯৬৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন সফল ভাবে মাটি থেকে ছোড়া যায় এমন উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করে।

০৫ ০৯
অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলের প্রাথমিক উদ্দেশ্য, মহাকাশে নিজের দেশের যে সমস্ত কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে এবং গবেষণামূলক কাজকর্ম চলছে সেগুলিকে নিরাপত্তা দেওয়া। সেই সঙ্গে মহাকাশ থেকে কোনও শত্রু দেশের আক্রমণ হলে তা যেন মহাকাশেই প্রতিহত করা যায়, তা নিশ্চিত করা।

অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলের প্রাথমিক উদ্দেশ্য, মহাকাশে নিজের দেশের যে সমস্ত কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে এবং গবেষণামূলক কাজকর্ম চলছে সেগুলিকে নিরাপত্তা দেওয়া। সেই সঙ্গে মহাকাশ থেকে কোনও শত্রু দেশের আক্রমণ হলে তা যেন মহাকাশেই প্রতিহত করা যায়, তা নিশ্চিত করা।

০৬ ০৯
অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলের সঙ্গে প্রয়োজনে পরমাণবিক অস্ত্রও যুক্ত করা যায়। পৃথিবী থেকে ৩১০০ নটিক্যাল মাইল (৫৭৪১ কিমি) পর্যন্ত এলাকাকে লো আর্থ অরবিট বলা হয়। সাধারণত সমস্ত দেশেরই মহাকাশে অবস্থিত সামরিক গবেষণা এবং কার্যকলাপ ওই এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। ভারতের তৈরি অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলও ওই লো আর্থ অরবিটেই সফল ভাবে কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করেছে।

অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলের সঙ্গে প্রয়োজনে পরমাণবিক অস্ত্রও যুক্ত করা যায়। পৃথিবী থেকে ৩১০০ নটিক্যাল মাইল (৫৭৪১ কিমি) পর্যন্ত এলাকাকে লো আর্থ অরবিট বলা হয়। সাধারণত সমস্ত দেশেরই মহাকাশে অবস্থিত সামরিক গবেষণা এবং কার্যকলাপ ওই এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। ভারতের তৈরি অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলও ওই লো আর্থ অরবিটেই সফল ভাবে কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করেছে।

০৭ ০৯
আমেরিকা রাশিয়ার পর চিন তৃতীয় শক্তি হিসাবে ২০০৭ সালে সফল ভাবে ওই প্রযুক্তির ব্যবহার করে। আমেরিকা এবং রাশিয়ার মতো চিনও প্রথম সফল উৎক্ষেপণের পর থেকে অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল প্রযুক্তি আরও উন্নত করে চলেছে।

আমেরিকা রাশিয়ার পর চিন তৃতীয় শক্তি হিসাবে ২০০৭ সালে সফল ভাবে ওই প্রযুক্তির ব্যবহার করে। আমেরিকা এবং রাশিয়ার মতো চিনও প্রথম সফল উৎক্ষেপণের পর থেকে অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল প্রযুক্তি আরও উন্নত করে চলেছে।

০৮ ০৯
চিনের সাফল্য মহাকাশে ভারতের নিরাপত্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর পর থেকে ভারতও সেই একই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু করে। ২০১২ সালের মধ্যেই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল তৈরির প্রযুক্তি তৈরিতে সক্ষম হন ভারতীয় বৈজ্ঞানিকরা। এ দিন ওড়িশা সৈকত থেকে ওই মিসাইল সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়।

চিনের সাফল্য মহাকাশে ভারতের নিরাপত্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর পর থেকে ভারতও সেই একই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু করে। ২০১২ সালের মধ্যেই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল তৈরির প্রযুক্তি তৈরিতে সক্ষম হন ভারতীয় বৈজ্ঞানিকরা। এ দিন ওড়িশা সৈকত থেকে ওই মিসাইল সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়।

০৯ ০৯
তবে আজকের ‘মিশন শক্তি’তে নতুন কোনও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হল, না ভারতের হাতে থাকা কোনও ক্ষেপণান্ত্রকেই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অবশ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

তবে আজকের ‘মিশন শক্তি’তে নতুন কোনও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হল, না ভারতের হাতে থাকা কোনও ক্ষেপণান্ত্রকেই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অবশ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE