খানিক আকস্মিক ভাবেই উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। ইস্তফার জন্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণ দেখালেও রাজধানীর অলিন্দে নানা জল্পনাকল্পনা চলছে। ধনখড়ের পরিবর্তে দেশের নতুন উপরাষ্ট্রপতি কে হতে চলেছেন, তা নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৮ (২) অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি কোনও কারণে পদত্যাগ করলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে গেলে এক জন ব্যক্তিকে ন্যূনতম ৩৫ বছর বয়সি হতে হবে। ভারতের নাগরিক হতে হবে। সরকারি কোনও লাভজনক পদে থাকা চলবে না। এমনিতে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন রাষ্ট্রপতি কিংবা উপরাষ্ট্রপতি। তবে ধনখড় তিন বছর উপরাষ্ট্রপতি পদে থাকার পর ইস্তফা দিয়েছেন। এর পর যিনি নতুন উপরাষ্ট্রপতি হবেন, তিনি আগামী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।
সংবিধান মোতাবেক উপরাষ্ট্রপতি পদে অস্থায়ী ভাবে কাউকে নিয়োগ করা যায় না। তবে উপরাষ্ট্রপতি যে হেতু পদাধিকার বলে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান, সে হেতু তাঁর অনুপস্থিতিতে সভার কাজ অস্থায়ী ভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন ডেপুটি চেয়ারম্যান কিংবা রাজ্যসভার অন্য কোনও সদস্য। ২০২০ সাল থেকে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন জেডিইউ সাংসদ হরিবংশ সিংহ। কেন্দ্রের একটি সূত্রের খবর, সরকারের ‘আস্থাভাজন’ বলেই পরিচিত হরিবংশকে উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত করতে পারে শাসকজোট এনডিএ। অন্য একটি সূত্রের দাবি, ধনখড়ের মতোই ফের কোনও রাজ্যের রাজ্যপালকে এই পদের জন্য বিবেচনা করতে পারে শাসক শিবির।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো বিধায়কেরা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না। ভোট দেন শুধু রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদেরা। বর্তমানে দু’কক্ষের মিলিত সাংসদ সংখ্যা ৭৮০। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ৩৯১ জন সাংসদের সমর্থন।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল, জগদীপ ধনখড় তিন বছর উপরাষ্ট্রপতি পদে থাকার পর ইস্তফা দিয়েছেন, ফলে বাকি দু’বছরের জন্য পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করতে হবে কাউকে। তথ্যটি ভুল। যিনি এর পর উপরাষ্ট্রপতি হবেন, তিনি পুরো মেয়াদের জন্য অর্থাৎ পাঁচ বছরই দায়িত্ব পালন করবেন। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী)