দিল্লি সরকারের ভূমিকা ও ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে নির্বাচিত সরকার রাখার প্রয়োজন কী? মেয়র নির্বাচন ঘিরে দিল্লি পুরসভায় আম আদমি পার্টি (আপ) এবং বিজেপির সংঘাত এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের আবহে এই প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব তলব করেছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
কেন্দ্রীয় সরকারের কৌঁসুলি তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সাংবিধানিক বেঞ্চকে জানিয়েছেন, দিল্লি জাতীয় রাজধানী হওয়ার একটি ‘অনন্য মর্যাদা’ রয়েছে এবং সেখানে বসবাসকারী সমস্ত রাজ্যের নাগরিকদের অবশ্যই একটি ‘স্বাধীনতার অনুভূতি’ থাকা প্রয়োজন। শীর্ষ আদালতের পুরনো একটি রায়ের প্রসঙ্গ তুলে দিল্লিকে ‘ক্ষুদ্র ভারতবর্ষ’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে দিল্লি সরকারের সংঘাতের প্রশ্নে ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, লেফটেন্যান্ট গভর্নর বা উপ-রাজ্যপাল নির্বাচিত দিল্লি সরকারের কাজে বাধা দিতে পারেন না। তিনি একা সিদ্ধান্ত নিতেও পারেন না। তাঁকে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করতে হবে। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছে, রাজ্যগুলির হাতে জমি এবং আইনশৃঙ্খলা (পুলিশ) সংক্রান্ত ক্ষমতা থাকলেও কেন তা দিল্লি সরকারের হাতে নেই। এ বিষয়ে কেন্দ্রের যুক্তি, দিল্লি কোনও রাজ্য নয়, এটি বিশেষ বৈশিষ্টযুক্ত একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
দিল্লি সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা দিল্লি পুরসভার মনোনীত সদস্যদের (অল্ডারম্যান) নাম ঘোষণা করায় শুক্রবার ভণ্ডুল হয়ে গিয়েছে মেয়র নির্বাচন। আপ নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলেছেন, দিল্লি সরকারকে এড়িয়ে কী ভাবে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ১০ জন অল্ডারম্যান নিয়োগ করে তাঁদের মেয়র নির্বাচনের ভোটাধিকার দিতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy