উত্সবের মাঝে আজ একটু বিষাদঘন দিন। সারা বিশ্বে আজ পালিত হচ্ছে মহরম বা আশুরা দিবস। এই দিনটার গুরুত্ব একটু অন্য রকম। একটু পিছন ফিরে তাকানো যাক।
সৃষ্টি-ধ্বংসের পরম্পরাই এই জগতের নিয়ম। মহরম মাসের দশম দিনের ইতিহাস সেই পরম্পরার সাক্ষী। এই দিন এক দিকে যেমন গোটা জগতের সৃষ্টি হয়েছে, তেমনই এই দিনেই অনুষ্ঠিত হবে কেয়ামত(ধ্বংস)। কেউ কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন, কোথাও মায়ের কোল আলো করে এসেছিল সন্তান, আল্লাহর ক্ষমায় কারও পাপমুক্তি ঘটেছিল, কেউ চল্লিশ বছর পর ফিরে পেয়েছিলেন হারানো ছেলে, কোথাও মহা প্লাবনের সময়ে জুদি পাহাড়ের আশ্রয় পেয়েছিল হয়রত নুরের ডুবন্ত নৌকা। সারা বিশ্বে আশুরা নিয়ে প্রচলিত রয়েছে এমনই অনেক কাহিনি।
এই মহরমের দিনই ঘটে গিয়েছিল এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। কারবালার মরু প্রান্তরে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হয়রত মহম্মদের নাতি ইমাম হোসেন ও হাসানকে সপরিবারে হত্যা করে স্বৈরাচারী ইয়াজিদ বাহিনী। হাসানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে সুন্নি ইয়াজিদ বাহিনি। হোসেনকে যুদ্ধে যুদ্ধে হত্যার পর বন্দি করে শিশু, মহিলা সহ হয়রত হোসেনের ৭২ জন পার্ষদকে। এই মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণে মহরমের মাস শোকের মাস হিসেবে পালন করেন গোটা বিশ্বের শিয়া মুসলিমরা। আশুরার দিন নফল নামাজ, রোজা আদায় ও কোরান শরিফ পাঠের মধ্যে দিয়ে হয়রত হোসেন-হাসানের আত্মত্যাগ স্মরণ করা হয়। কালো পতাকা নিয়ে মিছিলে হোসেনের নামে নিজেকে আঘাত করার রীতিও রয়েছে শিয়া মুসলিমদের মধ্যে। প্রতি বছরের মতো এই বছরও পালিত হচ্ছে মহরম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy