বডোদরার আসনটি ছেড়ে দেওয়ার পরে অমিত শাহকে সেখান থেকে প্রার্থী করাতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। অমিত শাহকে আরও বড় ভূমিকাই দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।
গুজরাতের বাইরে উত্তরপ্রদেশে গিয়ে অমিত শাহ নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। এখন বাংলা ও তামিল শিখতেও শুরু করেছেন। কারণ, দু’বছরের মাথায় এই দুই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। স্বয়ং নরেন্দ্র মোদীও তাঁকে দলের সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করতে চাইছেন। এবং সেটি দলের সভাপতি করেই। বিজেপির সভাপতি রাজনাথ সিংহ ও তাঁর পরিবর্তে মোহন ভাগবতের স্নেহধন্য নিতিন গডকড়ীকে সুকৌশলে মন্ত্রিসভায় নিয়ে এসে সেই পথটি খুলে রেখেছেন মোদী। যে কারণে অমিত শাহকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসেননি। কিন্তু সঙ্ঘ ও দলের একাংশের আপত্তিতে সেই সিদ্ধান্ত এখনও ঝুলে রয়েছে। তবে বিজেপি সূত্রের মতে, শেষ মুহূর্তে অমিত শাহকে সভাপতি করা না হলে মোদী তাঁকে পরের সম্প্রসারণে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসতে পারেন। এমনকী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে অমিতকে।
রাজনাথ সিংহ গতকাল আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের পরবর্তী সভাপতির নাম স্থির করার জন্য। ওই পদে অমিতের নাম নিয়ে সঙ্ঘের একাংশের প্রবল আপত্তি রয়েছে। তাঁদের মতে, অমিতের বিরুদ্ধে এখনও কয়েকটি মামলা রয়েছে। কংগ্রেস জমানা থেকেই এই মামলাগুলি রয়েছে। তার উপরে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য থেকে তাঁরই ঘনিষ্ঠ এক নেতা সভাপতি হলে ভুল বার্তা যেতে পারে বলে দাবি ওই সঙ্ঘ নেতাদের। তাঁদের মতে, দেশের দক্ষিণ, পূর্ব, উত্তর প্রান্তে এই নিয়ে অসন্তোষ জন্মাতে পারে।
তবে বিজেপি সূত্রে খবর, মুখে সঙ্ঘ নেতারা এ কথা বললেও তাঁদের আপত্তির আসল কারণ অন্য। তাঁরা মনে করছেন, শুধু জনপ্রিয়তার নিরিখে নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করতে হয়েছিল। এখন তিনি সেই কুর্সিতে বসেছেন। এ বারে যদি তাঁরই ঘনিষ্ঠ সভাপতি হন, তাহলে গোটা দলের রাশ মোদীর হাতেই চলে যাবে। এবং ভবিষ্যতে আরএসএসের প্রাসঙ্গিকতাও লঘু হয়ে যাতে পারে।
সভাপতি পদে বিকল্প নাম হিসেবে এখন জগৎপ্রকাশ নাড্ডা কিংবা ওম মাথুরের নাম ভেসে উঠেছে। যাঁদের সামনে রেখে বকলমে অমিত শাহ দলটিকে চালাতে পারেন। কিন্তু ভাগবত শেষপর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy