হাইলাকান্দি জেলায় বেজায় প্রতাপে একের পর এক সভা করছিলেন এআইইউ়ডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। কিন্তু তাল কাটল আজ। সার্কিট হাউসে এসে আজমলের দেখা না পাওয়ায় একাংশ দলীয় কর্মী জুতো উঁচিয়ে ‘আজমল গো-ব্যাক’, ‘আজমল মুর্দাবাদ’ ধ্বনি তুললেন। দাবি করলেন, দলকে ব্যবসায় পরিণত করেছেন আজমল। অবশ্য পরে আজমল তাঁদের ডেকে নেন। ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা।
গত দু’দিন ধরে হাইলাকান্দিতে আছেন আজমল। সংগঠন মজবুত করতে বৈঠক, কর্মিসভা ও জনসভা নিয়ে ঠাসা কর্মসূচি তাঁর। বৃহস্পতিবার হাইলাকান্দি ও গত কাল কাটলিছড়ায় তিনি বিরাট জনসভা করেন। আজ সকালে সার্কিট হাউসে দলের নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন আজমল। সেখানে ছিলেন অসম গণ পরিষদের প্রাক্তন মন্ত্রী সহিদুল আলম চৌধুরীর কন্যা তথা আলগাপুর জেলা পরিষদের অগপ সদস্য মেহেনাজ চৌধুরী।
ওই সময় দলের কয়েকজন কর্মী এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। তাঁদের বাইরে অপেক্ষা করতে বলা হয়। তা নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এর পর সফিকুদ্দিন লস্কর, নাহারুজ্জামান চৌধুরীদের নেতৃত্বে উত্তেজিত সদস্যরা জুতো-চটি উঁচিয়ে আজমলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে দেন। ‘মুর্দাবাদ’ ও ‘গো-ব্যাক’ ধ্বনি দেওয়ার পাশাপাশি চেঁচিয়ে বলা হয়, সুগন্ধীর ব্যবসায়ী আজমল এআইইউডিএফকেও ব্যবসায় পরিণত করেছেন। দলে স্বেচ্ছাচার চালাচ্ছেন। টাকা নিয়ে চলছে প্রার্থীত্ব দেওয়া।
পরে আলগাপুরে এক সরকারি কর্মীর বাড়িতে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠক করেন আজমল। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘বড় দলে অনেক টিকিট প্রত্যাশী থাকেন। সব সময় সকলকে সন্তুষ্ট করা যায় না। যাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা ক্ষমা চেয়ে বিবাদ মিটিয়ে নিয়েছেন। প্রার্থী বাছাইয়ে এখনও তিন মাস দেরি আছে। সকলের সঙ্গে কথা বলেই প্রার্থী ঠিক করা হবে।’’ আলগাপুরে সভাও করেন আজমল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy