নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প’ নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে একমাত্র তাঁর গলাতেই প্রশংসার সুর ধরা পড়েছিল। তা দেখে প্রকল্পের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ হওয়ার জন্য তারুরকে নিমন্ত্রণও জানিয়েছেন মোদী। কিন্তু মোদীর প্রকল্পের প্রশংসা করায় দলের মধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। আজ টুইটারে মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন শশী। চাপে পড়েই তিনি এই পদক্ষেপ করেছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বিতর্ক শশী তারুরের সঙ্গী। আইপিএল বিতর্কে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা পর্যন্ত দিতে হয়েছিল। এ বার লোকসভা ভোটে বিজেপি-র বিপুল জয়ের পরে শশী মোদীর প্রশংসা করায় তখনই এক বার বিতর্কের মধ্যে পড়েছিলেন। কংগ্রেসের মুখপাত্র পদ থেকে তাঁকে তখনই কার্যত সরিয়ে দেওয়া হয়।
এ বার শশী ‘স্বচ্ছ ভারত’ প্রকল্পের প্রশংসা করে দলে অসন্তোষের মুখে পড়েন। কেন্দ্রের ওই প্রকল্প নিয়ে প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করেছিলেন তারুর। পরে তা নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ দেখে বলেছিলেন, “সরকারের কোনও প্রকল্পের প্রশংসা করার অর্থ এই নয় যে বিজেপি-র মতাদর্শকে সমর্থন জানাচ্ছি।” কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। কেরল কংগ্রেসের একের পর এক নেতা এখন তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। হাইকম্যান্ডের কাছে তাঁদের এও দাবি, শশীকে যেন সমঝে দেওয়া হয়। কংগ্রেস সূত্রে খবর, আজ শশীকে ফোন করে হাইকম্যান্ডের তরফে এক শীর্ষ সারির নেতা তাঁকে সতর্কও করেন।
তার পরেই টুইট করে সরকারের সমালোচনা করেন তারুর। বলেন, “বিজেপি সরকার আসার পর থেকে ভারত-পাক সীমান্তে একশ বারের বেশি যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন হয়েছে। আজও পাঁচ জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক।”
কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে আজ ‘স্বচ্ছ ভারত’-এ যোগ দেওয়ায় সচিন তেন্ডুলকর ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ-রও প্রশংসা করেছেন মোদী। ক’দিন আগে মুম্বইয়ের সাফ সুতরো একটি রাস্তার ছবি টুইটারে দিয়ে সচিন লিখেছিলেন “৩৬ ঘণ্টা আগে একটা ছোট্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেউ কি রাস্তাটা চিনতে পারেন?” সোমবার সচিনের সেই পোস্ট রি-টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সচিনকে রাজ্যসভায় মনোনীত করে তৎকালীন শাসক দল কংগ্রেস। গগৈ-এর ‘স্বচ্ছ ভারত’-এ যোগ দেওয়া নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছিল। আজ তাঁরও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy