Advertisement
১৯ মে ২০২৪

বিচারপতি নিয়োগে আরও স্বচ্ছতা আনতে চান লোঢা

বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচলিত কলেজিয়াম পদ্ধতিই সঠিক বলে মনে করেন নয়া প্রধান বিচারপতি আর এম লোঢা। তবে কলেজিয়ামের বাইরে থাকা বিচারপতি ও কৌঁসুলিদের সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। শপথ গ্রহণের পরে আজ এ কথা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

নয়া প্রধান বিচারপতি লোঢা। ছবি: পিটিআই।

নয়া প্রধান বিচারপতি লোঢা। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:১২
Share: Save:

বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচলিত কলেজিয়াম পদ্ধতিই সঠিক বলে মনে করেন নয়া প্রধান বিচারপতি আর এম লোঢা। তবে কলেজিয়ামের বাইরে থাকা বিচারপতি ও কৌঁসুলিদের সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। শপথ গ্রহণের পরে আজ এ কথা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

বিচারপতি লোঢার কথায়, “আমার মূল উদ্দেশ্য ভাল বিচারপতি নিয়োগ করা। তা হলেই ক্রমশ বিচারব্যবস্থার চেহারা বদলে যাবে। বিচারপতি নিয়োগে কলেজিয়াম পদ্ধতির কোনও বিকল্প আছে বলে আমি মনে করি না। তবে এই বিষয়ে আলোচনার পরিসর বাড়ানো উচিত। তাতে আরও তথ্য মিলবে।”

উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে এখন প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের চার প্রবীণ বিচারপতি ও সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও তিন প্রবীণ বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত কলেজিয়াম সিদ্ধান্ত নেয়। এই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বেশ কিছু শিবির। বিচারপতি নিয়োগে রাজনৈতিক প্রশাসনের ভূমিকা থাকা উচিত বলে সাফ জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বল। কিন্তু কলেজিয়ামের পক্ষেই সওয়াল করেন সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবম।

প্রধান বিচারপতি লোঢা জানিয়েছেন, বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়ামের বাইরে দু’তিন জন বিচারপতি ও কয়েক জন কৌঁসুলির সঙ্গে আলোচনার পক্ষপাতী তিনি। এই বিষয়ে তিনি সব হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের চিঠি লিখবেন।

তবে প্রধান বিচারপতি ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের কার্যকালের মেয়াদ নিয়ে পূর্বসূরির মতের বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গি প্রধান বিচারপতি লোঢার। ওই পদগুলিতে দু’বছরের নির্দিষ্ট মেয়াদে নিয়োগ হওয়া উচিত বলে মনে করতেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু নয়া প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, “নির্দিষ্ট মেয়াদ পরবর্তী বিচারপতির উপরে প্রভাব ফেলবে। অনেক বিচারপতি ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিদের গড় কার্যকাল ৪ বছরের কম। তা হলে প্রধান বিচারপতির ২ বছরের নির্দিষ্ট মেয়াদ স্থির করা কী ভাবে সম্ভব?”

প্রাক্তন বিচারপতিদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি লোঢা বলেন, “সমাজের পক্ষে যা ক্ষতিকর তা বিচারবিভাগের পক্ষেও ক্ষতিকর। এই বিষয়ে আইনে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা আছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

supreme court r s lodha cji
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE